মাত্র তিন বছর বয়সে মা-হারা হন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। মাতৃহারা হওয়ার পর থেকেই নানার কাছেই বড় হয়েছেন তিনি। এবার সেই প্রিয় নানা শামসুল হক গাজীকে হারালেন নায়িকা।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শামসুল হক গাজী। সে সময় তার একটি ছোট অপারেশনও হয়েছিল। বিষয়টি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন পরীমণি নিজেই।
নানাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকেই পরীমনি ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলেন। ছোটবেলায় মায়ের মৃত্যুর পর পরীমনির বাবাও মারা যান। এর পর থেকেই নানার কাছে বেড়ে উঠেছেন তিনি।
পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে একসময় বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন পরীমনি। এ সময়েও তাঁর একমাত্র অভিভাবক ছিলেন নানা।
কদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালে নানাকে নিয়ে পরীমনি বলেছিলেন, ‘নানার এখন যে অবস্থা, কখন যে কী ঘটে যায়, বলা যায় না। আমি আসলে ভাবতেই পারছি না। নানা না থাকলে আমার যে কী হবে। কীভাবে থাকব আমি!’
পরীমণির নানা গাজী শামসুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে তাকে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিকেল তিনটায় বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শামসুল হক ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার জানাজার নামাজে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়। জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরও ঘণ্টাখানেক নামাজের উদ্দেশে জনতা আসতে থাকেন। এরপর মঠবাড়িয়ার পাশ্ববর্তী এলাকা ভাণ্ডারিয়ার সিংখালী গ্রামের পারিবারিক করবস্থানে তার সহধর্মিণীর কবরের পাশে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা সন্তানসহ আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।