হেল্থ ডেস্ক: নাটোর, যশোরের বেনাপোল এবং বাগেরহাটের মোংলাতেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এর আগে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে কোভিড-১৯-এর প্রকেপ দেখা দেয়। তাই এ অবস্থায় সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
ঈদুল ফিতরের পর থেকে মোংলায় করোনায় আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় রোববার (৩০ মে) থেকে দেয়া হয়েছে আটদিনের লকডাউন। জাহাজে করে ভারত থেকে আসা নাবিকদের অবাধ বিচরণের কারণে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি উপজেলা প্রশাসনের।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, মোবাইল কোর্ট আরও বেশি জোরদার করবো। কারণ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে এ জায়গাটাতে আমরা একটু কম গুরুত্ব দিতে পেরেছি।
এদিকে, যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে ভারত থেকে ফিরছেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা। অন্যদিকে, ভারতীয় ট্রাক চালকদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না বন্দরে।
বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, এখানে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। যারা প্রশাসনের দায়িত্বে আছে, তাদের আরও বেশি করে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মাস্ক ব্যবহার না করায় নাটোরে শনিবার (২৯ মে) জেলা প্রশাসনের ২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করে ১৪ জনকে। এছাড়া শহরের স্বাধীনতা চত্বর ও চকবৈদ্যনাথ রেলগেট এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করছে জেলা পুলিশ। এদিকে, জনসচেতনতা বাড়াতে দুপুরে কানাইখালী ও নীচাবাজার এলাকায় মাস্ক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৭১৩ জন। আর এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ২২ জন।