নর্দান ইউনিভার্সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি ট্রাস্টের (আইবিএটি) চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের (অর্থ পাচার) অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবু ইউসুফ আবদুল্লাহর স্ত্রী হালিমা সুলতানা, সন্তান সাদ আল জাবির আবদুল্লাহ ও লাবিবা আবদুল্লাহ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এম শামছুল হক, মোসাম্মাৎ হাবিবুন নাহার ও নাজমুস সাদাত।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রাস্টের তহবিল থেকে অর্থ তুলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান প্রাসাদ নির্মাণ লিমিটেড ও সুন্দরবন সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল লিমিটেডের হিসাবে স্থানান্তর করেন।
দুদক জানায়, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আইবিএটি ট্রাস্টের তহবিল থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে কোটি কোটি টাকা একাধিক চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের হিসাব থেকেও বিপুল অর্থ আইবিএটি ট্রাস্টের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ওই অর্থ আসামিদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানে সরানো হয়।
২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে একাধিক চেকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪০ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে। পরে এই অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করা হয়।
