“নর্থশোরের বিছানা ও একটি হলদে পাখি”-হৃদয়বিদারক এবং অনুপ্রেরণামূলক একটি স্মৃতিচারণমূলক বই। লিখেছেন এইচ বি রিতা। প্রকাশ হয়েছে ২০২৫ এর একুশে বইমেলায়, ঘাসফুল থেকে। চমৎকার প্রচ্ছদটি করেছেন, সুপ্রসন্ন কুণ্ডু। বইটি লেখকের জীবনের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের গল্প নিয়ে গঠিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এক হাসপাতাল ‘নর্থশোর’ এর বিছানায় থেকে লাইফ সাপোর্টে চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ছয়দিনের অতি সংকটময় সময়কে চিত্রিত করেছেন বইটিতে। এ এক বিরল সাহসী কাজ যা সবার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। আমরা সাধারণত এমন সঙ্কটময় মুহূর্তে হতাশ হয়ে পড়ি, বেঁচে থাকার আকুতিতে দুশ্চিন্তার মধ্যে নিজেদের হারিয়ে ফেলি। কিন্তু এই বইতে লেখক তার ভেতরের শক্তি, সাহস এবং মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে সেই সংকটময় সময়কে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে থেকেছেন, যা নিঃসন্দেহে অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
দশ পর্বে রচিত বইটির শুরুটা ছিল, “গত তিনদিনের তুলনায় শহরের আবহাওয়া আজ বেশ ভালো। গরমের তীব্রতা খুব বেশি নয়। বসে আছি নর্থশোরের বিল্ডিংটির কাচ জানালায় পাশে। সূর্য দিগন্তে নিচু হয়ে আছে, বাইরে ভূদৃশ্যের উপর যেন একটি সোনালি আভা ঢালাই করে পড়ে আছে। গ্রীষ্মের মুগ্ধতায় উচ্চিংড়ে পোকারা ঝিঁ ঝিঁ শব্দ করে গুঞ্জন করতে শুরু করেছে-বাতাসে পাতার মৃদু কোলাহল যেন প্রাচীন গাছের ছায়ায় কাটানো অলস বিকেলের রহস্য উন্মোচন করতে শুরু করেছে। গোধূলির স্নিগ্ধ আভায় স্নান করা সূর্যের আলো, বাতাসে দোলানো বন্যফুলগুলি দূর থেকেও অনুভব করছি আমি। দেখছি, দূরের গাছেদের ডালাগুলি আকাশের দিকে প্রসারিত হতে ব্যগ্র হয়ে উঠছে, যেমন করে উদগ্রীব শিশুরা সূর্যের দিকে পৌঁছাতে চায়। কাচ জানালার ওপাশে অনেকটা নিচে ঘাসের সবুজের সাথে লালচে, সোনালি এবং আকাশী রঙের ছায়াগুলি মিশে যাচ্ছে; এবার সূর্য দিগন্তের নিচে ডুবে গেছে। জানালার ওপাশেই একটা হলুদ রঙা পাখি প্রায় ঘন্টাখানেক যাবত বসে আছে। এতক্ষণ খুঁটে খুঁটে কিছু একটা খাচ্ছিল, আর আমাকে দেখছিল। যে-ই ষোল জোড়া অক্সফোর্ড শু’য়ের শব্দ কক্ষে ঢুকল, পাখিটি খাওয়া বন্ধ করে দিল। এখন এই মুহূর্তে সে আমার ঠিক উল্টোদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে বসে আছে।”
বইটি পড়ার সুযোগ হয়েছে আমার পিডিএফ থেকে। এইচ বি রিতা আমাকে বইটি প্রকাশ হওয়ার আগেই পিডিএফ পাঠিয়েছিলেন। সে যখন হাসপাতালে ছিল, আমার সাথে তখন কথা হতো ফোনে। আমরা ছোটবেলার বন্ধু, একসাথে স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছি। সেই সুবাদে এইচ বি রিতাকে তাঁর পরিবারের বাইরে আমার চাইতে ভালো কেউ জানবেন না।
ছোট থেকেই সে খুব পরিশ্রমী, নিজ কাজে প্রচণ্ড মনোযোগী। খুব ইতিবাচক মানুষ। জীবনের এমন সঙ্কটময় মুহূর্তেও যে সে এতটা সাহসী হবে, তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না।
তবে এই বইটি পড়ে, যেমন খুশী হয়েছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি, তেমনি মন ভারাক্রান্ত হয়েছে। তাঁর শারীরিক এবং মানসিক লড়াইয়ের মাধ্যমে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা, ভয়ের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা সব আছে বইটিতে। বইটিতে একটি “হলদে পাখি”র কথা উল্লেখ করেছে সে। কবি লেখকের মন, রূপক উপমার ব্যবহার ভালো জানেন। এই “হলদে পাখি” লেখকের অদম্য চেতনা এবং নতুন করে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই পাখি লেখকের সংকটময় মুহূর্তগুলিতে আশার আলো নিয়ে আসে এবং জীবনযুদ্ধের প্রতীক হয়ে ওঠে।
আমি যখন সে সময় তাঁর সাথে কথা বলি, তখন মনে হয়েছে, মানসিক দিক থেকে এইচ বি রিতা খুব শক্ত। তখন তাঁর লিভার সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি আতঙ্কে ছিলাম, দিনরাত নামাজে বসে দোয়া করতাম, কান্না করতাম। কিন্তু সে খুব স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বইটির সেই ছয়দিনের প্রেক্ষাপট পড়ে আজ মন খারাপ হয়। এইচ বি রিতা লিখেছে, “পরিপাটি কক্ষটিতে সাদা চাদরের উপর গা এলিয়ে ফিরে দেখছি ফেলে আসা ককটেল দিনগুলি। আহা শৈশব! মনে দোলা দিয়ে যাচ্ছে বার বার……! কত কি মনে পড়ছে আজ! ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে..’হেমন্তের কণ্ঠ কেন বার বার কানে বাজছে! সেই সাথে পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো হাওয়ায় ভেসে আসছে। ফিরে আসছে—অতীতের সেই সোনালি দুপুর, ছোটবেলার আনন্দের মুহূর্তগুলো, প্রিয়জনের সাথে কাটানো সময়গুলো।”
এইচ বি রিতা প্রায়শই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে, বিশেষ করে আমি যখন শারীরিক কোনো সমস্যায় হতাশ হই, তখন সে নানাভাবে আমাকে পুনরুজ্জিত করার চেষ্টা করে। সাহস দেয়। কিন্তু হাসপাতালের সেই দুঃসহ সময়ে সেও যে অবচেতন মনের কাছে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তা তাঁর উল্লেখিত লেখায় বুঝতে পারি। মানুষ তো তখনই পেছনে ফিরে তাকায়, যখন সামনের পথ অন্ধকারে ছেয়ে যায়।
সে লিখেছে, “আজ এতো মৃত্যুর কথা ভাবছি কেন? তবে কী চেতন মনকে ধাক্কা দিয়ে হতাশা, ভয় আমার অচেতন মনে এসে বাসা বেঁধেছে? অচেতন মানব মনের একটি শক্তিশালী দিক-কে বলেছিলেন? হ্যাঁ, সিগমান্ড ফ্রয়েডের আবিস্কার এটি, যা মানুষের আচরণের ভিত্তি এবং স্মৃতি ও চিন্তার ভাণ্ডার হিসাবে কাজ করে। “
ভয়ানক সময় পারি দিতে দিতেও সে মা’কে নিয়ে মজা করে লিখেছে, “আমার মা’কে বিবিসি নিউজ বলে প্রায় সময় আমি খেপাই। কারণ আমেরিকা এবং আমার পরিবারের সমস্ত খবর বাংলাদেশে দ্রুত ট্র্যান্সফার করেন তিনিই। সে কারণেই হয়তো আমার পরিবারের লোকজন বার বার আমাকে কল করছেন। আমি তাদের ফোনকল উপেক্ষা করে যাচ্ছি।”
পরের বাক্যেই লিখেছে, “এই মুহূর্তে কাউকে বর্তমান অবস্থার পুনরাবৃত্তি করতে ইচ্ছা করছে না। তার চেয়ে বরং হলদে পাখিটির খোঁজ করা যাক, কোথায় উড়ে গেল পাখিটি! এই তো ছিল জানালার ওপাশটায়!”
যতটা তাকে জানি, সে কখনো নিজের বিপদ সমস্যা অন্যকে বলে হতাশ করতে চায় না। তাই হয়তো সে সময় পরিবার ফোনকল উপেক্ষা করে খুঁজে ফিরছিল “হলদে পাখি”টাকে, যে ছিল তাঁর দুঃসময়ে একমাত্র সঙ্গী।
নর্থশোর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থেকে তার অবচেতন মন দুর্বল হতে হতেও আবার নতুন রূপে শক্তি নিয়ে ফিরে আসে। আর এই কাজটা সে করেছে একা, “হলদে পাখি”কে তাঁর একমাত্র সঙ্গী করে। ফোনকলে সেসময় একবার “হলদে পাখি”র কথা উল্লেখ করেছিল সে। লাইফ সাপোর্ট থেকে অন্যের অর্গান প্রতিস্থাপন করে ফিরে আসার পরও “হলদে পাখি”র কথা শুনেছি তাঁর মুখে। সে বলত, পাখিটির সাথে তাঁর কথা হয়।
বইটির এক অংশে সে লিখেছে, “হে হলদে পাখি! তুমি কি জানো প্রতিদিনের মতো আজও তুমি আমার জীবনের ধ্রুবতারা হয়ে ওঠছো? তোমার উপস্থিতি, আমার দিকে তাকিয়ে থাকা, ঘাড় নড়ানো—কখনো একেবারেই নিশ্চুপ, তো কখনো নিরন্তন উড়ান আবার ফিরে আসা; এসবই তোমার ছোট্ট, সরল উপস্থিতি যা আমার জীবনের সকল জটিলতার মাঝেও এক ধরনের স্থিতি আর স্থায়িত্ব এনে দেয়। তুমি কি জানো, আমি এক কঠিন সময় পার করছি, যেখানে নিজের সাথে নিজের চলেছে দ্বন্দ্ব—কখনো পড়ে যাওয়ার, কখনো উঠে দাঁড়ানোর!
লীলা মজুমদারের “হলদে পাখির পালক” গল্পে হলদে পাখির পালককে কেন্দ্র করে রহস্যময় ঘটনা আবর্তিত হয়, যা পাঠকদের কল্পনায় রঙিন ছোঁয়া দেয়। এছাড়াও, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের “হলুদ পাখি” গ্রন্থে হলুদ পাখি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।
সাহিত্যে পাখিরা প্রায়ই স্বাধীনতা, শান্তি, আশা বা আত্মার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এইচ বি রিতার “হলদে পাখি”র সঙ্গে কথোপকথন তাঁর অভ্যন্তরীণ অনুভূতি ও মানসিক অবস্থাকে প্রকাশ করে, যেখানে পাখিটি তার জীবনের জটিলতা ও দ্বন্দ্বের মধ্যে স্থিতি ও স্থায়িত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
জুলাই ১০, ২০১৯-জানতে পারি এইচ বি রিতা এর আগের দিনই লাইফ সাপোর্টে চলে গেছে, তার অবস্থা খুবই সঙ্কটপূর্ণ। এর পরদিন জানতে পারি, প্রতিস্থাপনের জন্য লিভার খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরও তিনদিন পর জানতে পারি, তাকে সম্ভবত আর ধরে রাখা যাবে না; বিদায় জানাতে হবে। সে সময়টা কেমন ছিল, তা শব্দ বাক্যে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
তাঁর পরিবার সহ আমি, এলাকাবাসী সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ি। কতটা সাহসী মনোবল থাকলে সেই শেষ দিনটাতেও এইচ বি রিতা তার ফোনের নোটপ্যাডে লিখেছিল (যা পরে বইয়ের শেষ পর্বে আসে),
“জুলাই ৯, ২০১৯। ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে বাতাসের তীব্রতায় গাছেদের ডালপালা পাতারা দোলছে। কাচ জানালার গা ঘেঁষে দেখছি বৃষ্টির আন্দোলন। ঘুম থেকে জেগে ওঠা এবং একটি বৃষ্টির দিন দেখা মানে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হলো দুঃশ্চিন্তা। দিনের কাজগুলো ঠিকঠাক মতো করা যাবে কিনা, তা-ই প্রথমে ভাবনায় আসে। তবে, আজ আমার দুঃশ্চিন্তা ভিন্ন কারণে। মেডিক্যাল টিম তেমন কোনো ভালো খবর দিতে পারেননি। আবারো বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন তারা। লিভারের সাথে অন্যান্য অর্গানগুলিতেও নাকি সমস্যা দেখা দিয়েছে।
কি হতে যাচ্ছে- সরাসরি কিছু বলছেন না তারা, তবে তাদের দৌড়ঝাঁপ দেখে অনুমান করছি, অবস্থা অনুকূলে নয়।”
“নর্থশোরের বিছানা ও একটি হলদে পাখি”-বইটির সমাপ্তি ঘটে এই কথাগুলোতে,
“বৃষ্টি থেমে গেছে। আমার হলদে পাখিটি কাচ জানালার বাইরে বসে আছে চুপচাপ। কাচ জানালায় ঠোঁট লাগিয়ে অদ্ভুত দৃষ্টিতে কিছু বলতে চাইছে কিন্তু আমি শুনতে পাচ্ছি না! সে নখ দিয়ে জানালায় আঁচড় কাটছে—আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার ঘুম পাচ্ছে। চোখ টেনে খোলে রাখতে পারছি না! প্রচণ্ড ঘুম। ভয়ানক রকমের ঘুম—আর ঝাপসা চোখে সেই গোল গোল চোখের অসহায় মুখ—আবারো বলছে; ‘মাম! মাম! প্লিজ ডোন্ট গো….!
ভয়ানক ওজন নিয়ে কিছু একটা বুকের উপর হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে। কে সে? কি সে? হলদে পাখিটি এমন শান্ত হয়ে তাকিয়ে আছে কেন? আমার ঠোঁট দুটো নড়ে উঠছে এবার—মাম! স্টে সেইফ!”
কাছের বলে নয়, একজন সাধারণ পাঠক হিসাবে যদি বলি, সমাপ্তির শেষ অংশটুকু পড়ে যে কারো চোখ জলে ভিজে যেতে যথেষ্ট। যে কারো বুকে ব্যথা শুরু হওয়ার জন্য এই অংশটুকুই যথেষ্ট। আমি কেবল ভাবি, কেমন বোধ হয়েছিল তাঁর সেই মুহহূর্তে? লেখকের সেই মুহূর্তের অনুভূতি আমরা পুরোপুরি বুঝতে পারব কিনা, তা বলা কঠিন। তবে, তাঁর লেখনীর মাধ্যমে আমরা তাঁর অনুভূতির প্রতিফলন হয়তো কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারি, যা আমাদের নিজেদের অনেকের অনুভূতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে। এটিই একজন লেখকের সার্থকতা যে, তাঁর সৃষ্টিকর্ম পাঠকের মনে এমন গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
এই বইয়ের প্রতিটি পাতা, নর্থশোরের বিছানায় শোয়ে থাকা এইচ বি রিতার সেই ছয়দিনের জীবন সংগ্রাম, অবসাদ, এবং পুনর্জাগরণের একটি কাহিনী, যা পাঠকদের মনকে একদিকে ভারাক্রান্ত করবে, অন্যদিকে জীবনকে দেখার নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে এবং উদ্দীপনা জাগাবে। লেখক এই যাত্রার মাধ্যমে পাঠকদের জানাতে চেয়েছেন যে, সংকটের সময়ে হেরে যেতে নেই, বরং নিজেদের ভেতরের শক্তিকে খুঁজে বের করতে হয়; এটাই জীবন।
“নর্থশোরের বিছানা ও একটি হলদে পাখি”-আমাদের শেখায় যে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে লড়াই করতে হয় যেখানে আশা ও সংগ্রামের সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে। সুতরাং, আমি বলব, এই বইটি শুধু একটি ব্যক্তিগত গল্প নয়; এটি জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে একটি সূক্ষ্ম সেতু, যা আমাদের জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করার সুযোগ করে দেয়। পাঠকদের জন্য এই বইটি একটি অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে যা জীবনকে নতুন দৃষ্টিতে দেখার এবং সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করার প্রেরণা জোগাবে।
দীর্ঘাযু হও কবি, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক এইচ বি রিতা।
মিরপুর/ঢাকা