নরসিংদীতে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দিচ্ছে জেলা ছাত্রলীগ

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস যখন নরসিংদীতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ঠিক তখনই ¶েতে ভালো ধানের ফলনে হাসি ফুটেছে নরসিংদী সদরের শিলমান্দী এলাকার কৃষকদের মুখে। কিন্তুু করোনার কারণে ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নরসিংদী পৌর মেয়রের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসিবুল হাসান মিন্টুর নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ছাত্রলীগের প্রায় ৪০ জনের একটি দল অসহায় কৃষকদের পাকা ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে।
উপকারভোগী স্থানীয় কৃষকরা জানায়, এই বছর ফসল ভাল হয়েছে। কিন্তুু করোনা ভাইরাস এর কারণে ভয়ে কেউ ধান কাটতে চায় না। আর দূর থেকে কোনো শ্রমিক এলাকায় আসে না। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে পারা যাচ্ছে না। ফলে পাকা ধান জমিতেই নষ্ট হবার আশঙ্কা ও কিভাবে ধান ঘরে তুলব তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। পরে কিছু ছাত্রলীগের যুবক ভাইদের জানালে তারা এগিয়ে এসে আমাদের জমির ধান বিনামূল্যে কেটে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে শহর ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ওমর ফার“ক রাজিব জানায়, করোনা ভাইরাস মহামারীতে দেশের এই সংকটময় মূহুর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবান সাড়া দিয়ে নরসিংদীর পৌর মেয়র আলহাজ্ব কামর“জ্জামান কামর“ল এর উৎসাহ ও সার্বিক সহযোগিতায় কৃষকদের জমিতে থাকা পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে জেলা ছাত্রলীগ এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণের স্বার্থে আমাদের এই কার্যক্রম পরবর্তীতে অব্যাহত থাকবে।
এসময় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসিবুল হাসান মিন্টু, নরসিংদী সদর থানার ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন, সাধারন সম্পাদক, শেখ সাদীসহ নরসিংদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শাহ আলম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শোভন কুমার ধর জানান, এ বছর জেলায় বোরো আবাদের ল¶্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৫ হাজার ৩ শ’ হেক্টর। কিন্তুু আবাদ হয়েছে ৫৫ হাজার ৩ শ’ ২১ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো আবাদের ল¶্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। কিন্তুু করোনার কারনে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেনা কৃষকরা।