নরসিংদী সদরের চরাঞ্চলে আবারও বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের স্থানীয় এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগরে এ ঘটনা ঘটে। চলতি মাসে ওই এলাকায় এ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
আজ সকালে নিহত ব্যক্তির নাম সাদেক হোসেন (৪২)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ইদন মিয়া (৬০) ও ফেরদৌসী বেগম (৩৫) নামের দুজন নিহত হন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে গেলে সেখানে বিএনপির দুটি পক্ষকে সক্রিয় হতে দেখা যায়। একটি পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী এবং আরেক পক্ষে সদ্য বহিষ্কৃত সদস্যসচিব আবদুল কাইয়ুম মিয়া নেতৃত্ব দেন। মেঘনা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলাসহ নানা অভিযোগে সম্প্রতি দলীয় পদ থেকে বহিষ্কৃত হন আবদুল কাইয়ুম। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে তাঁর সক্রিয় থাকার বিষয়টি মানতে পারছিল না শাহ আলম পক্ষ। অভিযোগ আছে, আবদুল কাইয়ুম মিয়াকে ঠেকাতে এলাকা ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আবার এলাকায় ফিরিয়ে আনছেন শাহ আলম চৌধুরী। এ নিয়ে দুই পক্ষই বারবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এসব ঘটনার জেরে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর মুরাদনগর গ্রামে সংঘর্ষ হয়।
সূত্রগুলো বলছে, আজ সকালে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সাদেক হোসেনসহ অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর সাদেক হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।