নভেম্বরে দেশে চালু হচ্ছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানুষের অবস্থান শনাক্ত করার জিও লোকেশন প্রযুক্তি। যদিও নির্বাচনের আগে এমন প্রযুক্তি নিয়ে রয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া।
নভেম্বর থেকে থেকে জিও লোকেশানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোন মোবাইল ব্যবহারকারীর অবস্থান সনাক্ত করা যাবে সহজে। মূলত মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এই প্রযুক্তি কার্যকর করবে বলে জানা গেছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দেশের সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই এই প্রযুক্তি চালুর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। প্রতিবেদন মতে অপারেটরদের সহায়তা নিয়ে কিংবা সহায়তা ছাড়াই মানুষের সুনির্দিষ্ট অবস্থান শনাক্ত করতে পারবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে এজন্য মোবাইল অপারেটরদের নিজ খরচে নতুন সফটওয়্যার ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সংযোজন করতে চাপ দেওয়া বিষয়ে বিটিআরসি কিংবা সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান, মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। তিনি জানান যে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর বিষয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী দেশ ও জনগণের স্বার্থে যা করা যায় সেটাই তারা করে থাকে।
ইন্টিগ্রেটেড ল’ফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম নামের এই প্রযুক্তি মূলত আড়িপাতা বা নজরদারির জন্য একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা। যাতে ব্যক্তির অবস্থান চিহ্নিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে জড়িত থাকবে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও। তবে নজরদারির এ ব্যবস্থায় মোবাইল অপারেটররা ছাড়াও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (এনআইএক্স) এর মতো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করবে সরকারি সংস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে।