নতুন বেতন কাঠামো ঘিরে অব্যাহত আছে শ্রমিক অসন্তোষ। সহিংসতা ও ভাঙচুরে বাড়ছে অস্থিরতা, ঘটছে প্রাণহানিও। এসবের জেরে একে একে পোশাক কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা। চলমান সহিংসতার পেছনে বহিরাগতদের দুষছেন মালিকপক্ষ। তারা বলছেন, নতুন বেতন কাঠামোর মাধ্যমে কঠিন হবে ব্যবসা চালানো।
সপ্তাহ দুয়েক ধরে নতুন মজুরি কাঠামো নিয়ে উত্তপ্ত তৈরি পোশাক খাত। কারখানা ভাঙচুর, হামলা, মামলা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ। সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়া এলাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪ জন শ্রমিক। ২৫টি কারখানা ভাঙচুরের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ১৩০টি কারখানা।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক বসে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এতে অংশ নেন গেল কয়েকদিনের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা ও বিজিএমইএ নেতারা। চলমান ঘটনায় বহিরাগতদের দায়ী করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা। হুঁশিয়ারি দেন, সহিংসতা না থামালে কারখানা বন্ধ রাখার।
বিজিএমইএ পরিচালক ইনামুল হক খান বাবলু বলেন, আন্দোলনে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে থাকছে বহিরাগত শ্রমিকরা। ইদানিং তাতে যোগ দিয়েছে কিশোর গ্যাং। তারা খুবই মরিয়া। মূলত ভাঙচুরের জন্য তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শ্রমিকরা কাজ না করলে কিংবা তারা ভাঙচুর চালালে মালিক কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন। এভাবে শ্রমিক আন্দোলন হতে পারে না।
তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধান দুই বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে রপ্তানি কমেছে। এই অবস্থায় ক্রেতারা পোশাকের দাম না বাড়ালে সংকট আরও বাড়বে।