সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেস্ক: নতুন বাংলা বছর বরণে মেতেছে বাঙালি। ১৪২৯ সনের প্রথম দিনটিকে স্বাগত জানাতে রাজধানীর রমনা বটমূলে সঙ্গীত আর কবিতার পংক্তিমালায় সাজানো হয় অনুষ্ঠান। ৩৭টি পরিবেশনায় ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুর।
করোনার বন্দিদশা কাটিয়ে আবারো হাজারো মানুষের পদভারে মুখরিত হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। নানা শিল্পকর্ম হাতে নিয়ে নেচে-গেয়ে স্বাগত জানালো নতুন বছরকে। তবে এবার শাহবাগের পরিবর্তে শোভাযাত্রা হয় টিএসসি থেকে স্মৃতি চিরন্তন অভিমুখে।
যদিও মেঘের গল্পে কখনো জেগেছে, কখনো আবার মেঘের আড়ালেই হেসেছে বৈশাখের প্রথম সূর্যটা, তবে প্রার্থনা ছিল মলিন মর্ম মুছায়ে শুধুই মঙ্গলের।
দুই বছর পর ফের রমনার বটমূলে বৈশাখ পেলো সুর বৈশাখ পেলো কবিতার পঙ্তিমালা, পেলো শত হাজার রঙের গল্প। যে গল্পে ছিলো না কোনো বিভেদরেখা। ছিল শুধুই স্বপ্ন দেখা মানুষ।

সূর্য উঠার সাথে সাথেই স্বল্প পরিসরে শুরু হয় ছায়ানটের এই বৈশাখি উদযাপন। বয়সজনিত বার্ধক্যে সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও রমনার বটমূলে স্বকণ্ঠে বৈশাখের সুর ঠিকই পৌঁছে দিয়েছেন সনজিদা খাতুন।
সাদা কাঠগোলাপ আর লাল গোলাপে নিখাঁদ বাঙালিয়ানায় বৈশাখ অনেকের কাছেই প্রার্থনায় রঙিন। কিন্তু বৈশাখকে ঘিরেই যাদের কর্মযজ্ঞ, সেখানে কতটাই বা স্বপ্ন বুনে দিলো এই উৎসব।
তবে, ভালো থাকার ভাবসম্প্রসারণে ভালো থাকুক মানুষ, ভালোবাসুক মানুষ, সম্পর্ক হোক সৌহার্দের সঙ্গীতে।