সারাদেশ ডেস্ক: দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় তিন জেলায় প্রাণ গেছে ৫ জনের। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নরসিংদীর রায়পুরার বাশগাড়ীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৩ জন। আর কক্সবাজারের খুরুশকুলে নারী সদস্য প্রার্থী কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন।
চট্টগ্রামের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে সংঘর্ষে জড়ান সদস্য প্রার্থীর সমর্থকরা। মাদারীপুরের সাহেবরামপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটনো হয়।
এদিকে, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম শাওন আহমেদ (২৫)। তিনি উপজেলার ভল্লবেরকান্দি গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।
দুপুর আড়াইটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সালাউদ্দিন মোল্লা। তিনি জানান, এ ঘটনায গুলিবিদ্ধ অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টার দিকে একদল বহিরাগত হঠাৎ করেই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশ বাঁধা দিলে বহিরাগতদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে যশ মিয়া, শাওন আহমেদ ও নাজমুল নামের তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ তিনজনসহ আহত হন অন্তত ১০জন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ঘটনার সময় মানিকারচর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নাজমুল হাসান মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতরা প্রবেশ করে ভোট দিচ্ছে। এ ঘোষণার পরই ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনা শুরু হয়। তারপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ইমামকে আটক করেছে পুলিশ। এসব বিষয়ে জানতে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।