আবহাওয়ার পরিবর্তন ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: দেশের ২৩ জেলা বন্যা কবলিত হলেও বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অন্তত দশ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতী হয়েছে। কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশু মারা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে পানিবন্দি হয়ে আছে কয়েক লাখ মানুষ। জামালপুরে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে দেওয়ানগঞ্জ-ইসলামপুর ট্রেন চলাচল।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদ সীমার প্রায় ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৯ উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের তীব্র সংকট। পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
তবে তিস্তা ও ধরলার পানি কমায় লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলার ৫ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দী। নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা ও দূর্গাপুরে পানি কমতে থাকলেও উজানের পানি নিচে নামতে থাকায় জেলার মদন ও খালিয়াজুরী উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পাবিত হয়েছে। দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রানের অভাবে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে মানুষ।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের নতুন নতুন এলাকা পানিতে ডুবে যাচ্ছে। পাঁচ উপজেলা কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর ,বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের ১ ল ৭৩ হাজার পানিবন্দি মানুষদের ভোগান্তি চরম পর্যায় পৌছেছে।
ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে শেরপুর সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা নতুন করে পাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের আমন বীজতলা ও পাট ডুবে গেছে। সেই সাথে বাড়ছে সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষের দুর্ভোগ। সিলেটে পানি কমলেও এখনো বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি। এছাড়া কানাইঘাট কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট উপজেলার নি¤œাঞ্চল এখনো পাবিত।
ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে যমুনা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরো বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। জামালপুরের ৭ উপজেলার ৪০ টি ইউনিয়ন এবং ৬টি পৌরসভা বন্যা কবলিত হয়েছে। পানিবন্দি তিন লাখ মানুষ। রেল লাইন ডুবে যাওয়ায় দেওয়ানগঞ্জ-ইসলামপুর রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, সুনামগঞ্চে পানি নামছে ধীর গতিতে, তবে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে এখনো ফিরতে পারছেন না মানুষ। জেলায় ৩৫৭ টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রশাসনের প থেকে ত্রান বিতরণ করা হচ্ছে। গাইবান্ধায় ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট নদীর পানি বাড়তে থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের আরও নতুন এলাকা প্লাবিতা হয়েছে। সূত্র : এটিএন বাংলা
দেশের ২৩ জেলা বন্যা কবলিত হলেও বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অন্তত দশ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতী
আবহাওয়ার পরিবর্তন
0 Views