যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন বলেই আমরা একটি সুন্দর শহর পেয়েছি। তাদের বঞ্চিত রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এলজিআরডি উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে দুর্গা পূজার আগে তাদের বাসস্থানের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগের গণকটুলি এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের মন্দিরে এসে সম্প্রদায়টির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এই সমাজের কোনো পেশাই ছোট নয় মন্তব্য করে এই উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেক পেশার নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব।স্থানীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে হরিজন সম্প্রদায়ের নানা দাবি ও সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
রাজধানী বংশালের আগা সাদেক রোডের মিরনজিল্লা এলাকাতেও ব্রিটিশ আমল থেকেই হরিজন সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে আসছেন। নগরবাসীর সেবার জন্য তাদের আনা হয়েছিল। তারা স্বেচ্ছায় ঢাকায় আসেন নাই।
কয়েক মাস আগে তারা জানতে পেরেছেন, সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে। পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদের ঘোষণার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে তারা মিরনজিল্লা এলাকায় সমাবেশ করেছেন।
একই সময়ে প্রশ্ন ওঠে, যারা এই ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখছেন, সেই মানুষগুলোর প্রতি কেন এই নিষ্ঠুর আচরণ? বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে কাউকে উচ্ছেদ করা কী অমানবিক ও বেআইনি নয়?
অভিযোগ আছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গরিব হরিজনদের উচ্ছেদ করেই উন্নয়ন করতে চায়। এমনকি শত শত বছর ধরে যারা সেখানে আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনারও প্রয়োজন বোধ করেন না।