বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছেন তিনি, যা অবশেষে নিউমোনিয়ায় রূপ নিয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাকে ইতোমধ্যে রোমের গেমেলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৮৮ বছর বয়সি পোপের দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে এবং তার শারীরিক অবস্থা জটিল বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
ভ্যাটিকান জানায়, আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে করা ফলোআপ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে যে পোপের উভয় ফুসফুসে নিউমোনিয়া হয়েছে, যা তার জন্য অতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে।
ভ্যাটিকান আরও জানায়, পরীক্ষাগুলো এবং তার ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি এখনও জটিল রয়ে গেছে।
পোপের মনোবল অটুট, শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা
তবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও পোপ ফ্রান্সিস উচ্চ মনোবল বজায় রেখেছেন এবং তিনি দিনটি পড়াশোনা, বিশ্রাম ও প্রার্থনার মাধ্যমে কাটিয়েছেন।
তিনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার জন্য প্রার্থনা করতে বলেছেন।
গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তিনি কয়েকদিন ধরে ব্রঙ্কাইটিসের উপসর্গে ভুগছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলোতে তার বক্তব্য পাঠের দায়িত্ব অন্যদের দিয়েছিলেন।
আসন্ন ইভেন্ট বাতিল
পোপ আসন্ন ২০২৫ সালের ক্যাথলিক পবিত্র বর্ষ উদযাপনের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে তার স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে রোববার পর্যন্ত তার সব প্রকাশ্য কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার ভ্যাটিকান জানায়, পোপের চিকিৎসা পরিবর্তন করা হয়েছে এবং তার শ্বাসযন্ত্রের পলিমাইক্রোবিয়াল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
আগে থেকেই ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন পোপ
পোপ ফ্রান্সিস অতীতে ফুসফুস সংক্রমণে ভুগেছেন। ২১ বছর বয়সে তিনি প্লুরিসি রোগে আক্রান্ত হন, যার কারণে তার এক ফুসফুসের অংশ অপসারণ করা হয়েছিল। ফলে তিনি নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন।
রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে ১২ বছরে তিনি একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২০২৩ সালের মার্চেও তিনি ব্রঙ্কাইটিসের কারণে তিন রাত হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন।