আশির দশকের প্রতাপশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ পারেনি, মাইটি অস্ট্রেলিয়াও ব্যর্থ। অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে তিন টেস্টের সিরিজে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ হল ভারত। এর আগে নিজেদের মাঠে সবশেষ ম্যাচ হেরেছিল ২০০০ সালে। সেবার দু’ম্যাচের সিরিজে হান্সি ক্রনিয়ের দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকারের ভারত।
ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচেই হার। ২৪ বছর পর ঘরের মাঠে ধবলধোলাই, ১২ বছর পর সিরিজ হার। এত লজ্জা আর হতাশা রাখবে কোথায় টিম ইন্ডিয়া?
ভারতকে সবশেষ টেস্ট সিরিজেও হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সে কিউইরা এবার রেকর্ডবুকে নাম তুলল। ইতিহাস গড়ার পথে মুম্বাইয়ের ওয়েংখেড়েতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রিশব পন্ত। কিন্তু সব আলো কেড়ে নিলেন মুম্বাইয়ে জন্ম নেয়া এক স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল। যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ।
স্পিন পার্টনার গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে ১৪৬ রানেও আটকে দিলেন ভারতকে। হারালেন ২৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ আর ম্যাচে ১১ উইকেট শিকার করেন অ্যাজাজ। যা ভারতের কোন নির্দিষ্ট ভেন্যুতে সফলতম বিদেশি বোলার। এ মাঠেই ২০২১ সালে ইনিংসের ১০ উইকেটসহ ১৪টা নিয়েছিলেনে এ কিউই স্পিনার। সব মিলে ওয়াংখেড়েতে তার ২২ উইকেট। পেছনে ফেলেন ইয়ান বোথামকে।
হোয়াইটওয়াশের পেছনে অবশ্য কিউইদের টিম পারফরম্যান্স। বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ জেতান পেসার আর ব্যাটাররা মিলে। বল হাতে টিম সাউদি, ম্যাট হেনরি আর ব্যাট হাতে রাচিন রাবিন্দ্র, উইল ইয়ংদের দাপট। পুনেতে মিচেল স্যান্টনারের কাছে হেরেছে ভারত। ম্যাচে ১৩ উইকেট নেন তিনি। তবে সিরিজ জুড়ে হেসেছে উইল ইয়ংয়ের ব্যাট। মিলেছে সিরিজ সেরার পুরস্কার।
গৌতম গম্ভীরের অধীনে একের পর এক হেরেই চলছে ভারত। বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারাও বাঁচাতে পারছেন না টিম ইন্ডিয়াকে। বোলারদের চেয়ে ব্যাটারদের দায়ই বেশি। তিন ম্যাচের সিরিজে ১৪ বার শূণ্য রানে আউটের লজ্জা তার প্রমাণ।