জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, দলীয় শাসন রাষ্ট্র ক্ষমতায় দীর্ঘমেয়াদে অবস্থান করলে, অনেক সময় স্বৈরশাসনে রূপান্তরিত হয়। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা এটাই প্রমাণ করে গেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর চৌমুহনী পাবলিক হলে পতাকা উত্তোলন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডি নেতা গোলাম রাব্বানী।
এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, এই ধরনের প্রবণতায় রাষ্ট্র সুসংহত গণতন্ত্রে উপনীত হয় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দেখা গিয়েছে— দলীয় গণতন্ত্র, গণতন্ত্রায়ণের পথে না গিয়ে হাইব্রিড রিজিমের উত্থান করেছে। ফলে, ক্রমাগতভাবে গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে। শুধুমাত্র দলীয় সরকারের পক্ষ থেকেই গণতন্ত্র ভাঙনের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং পরিশেষে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়। সুতরাং শুধু দলীয় গণতন্ত্র দিয়ে বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার অপসারণ করা সম্ভব হবে না।
স্বৈরচার হওয়ার পথ রোধ করতে কি প্রয়োজন সে বিষয়ে তিনি বলেন, এর জন্য প্রয়োজন চলমান সংকুচিত গণতন্ত্র থেকে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী জনগণের অংশগ্রহণ ভিত্তিক গণতন্ত্র প্রবর্তন করা। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর পুরনো শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন না করলে, বিকল্প রাজনৈতিক মডেলের প্রবর্তন না করলে, তা হবে জনগণের অভিপ্রায়ের সাথে প্রতারণা।
জেএসডির ১০ দফাই হচ্ছে বিকল্প রাজনৈতিক মডেল বলেও উল্লেখ্য করেন তিনি।
সভায় জেএসডি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে সে এবং তার দল অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তর হয়ে পড়েছে। দলতান্ত্রিক রাজনীতির এই করুণ পরিণতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে নতুন রাজনীতির উন্মেষ ঘটাতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র ছাড়া আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিকশিত হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল কবির মানিক, প্রচার সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান, জেলা সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুর রহমান, মোশারফ হোসেন মিন্টু, নীল কমল সাহা, জহির রায়হান পলাশ, মামুনুর রশিদ, ফরিদ উদ্দিন রতন, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন বিজয় প্রমুখ।