মিনতি করে শান্তির ডাক দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই ডাকের তোয়াক্কা না করেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে কেঁপে উঠলো ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেই যুদ্ধবিরতির আবেদন করলেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজ থেকে একাধিক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর, দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না।” তবে বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ইতোমধ্যেই ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪ জন, আহত হয়েছেন আরও ২২ জন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন IRINN দাবি করেছে, কাতারে মার্কিন ঘাঁটির ওপর হামলা ‘সফলভাবে’ চালানোর পরই ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির জন্য ‘মিনতি’ করেন। এক ঘোষণায় বলা হয়, এই হামলার মাধ্যমে ইরান শক্তি ও প্রতিরোধের বার্তা দিয়েছে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বা আইআরজিসি’র ভুমিকা এ বিবৃতিতে প্রশংসিত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (IDF) জানায়, ইরান থেকে কয়েক দফায় ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে বিয়েরশেবা শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- নিহত ৪ জন ও আহত ২২ জন
ইসরায়েলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে একাধিক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে, চলছে উদ্ধার অভিযান।
ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও, ইসরায়েল এখনো সেটি সরকারিভাবে মেনে নেয়নি। পরিস্থিতি স্পষ্ট নয়—শান্তি আসবে, না কি সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ রূপ নেবে?