ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: থিম পার্কে ‘নকল’ কুমিরের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে সত্যিকারের কুমির পানির নিচে টেনে নিলো পর্যটককে। ‘নকল’ কুমির যে আসল হয়ে তাকে টেনে নিয়ে যাবে সেটা কি ভাবতেও পেরেছিলেন? এমন ঘটনাই ঘটেছে ফিলিপাইনের ফিলিপাইনের কাগায়ান ডি ওরো শহরের অমায়া ভিউ নামের একটি বিনোদন পার্কে। বিভিন্ন সাইজের প্রাণীর ভাস্কর্য থাকা নতুন কিছু নয়। পার্কে গেলে এসব ভাস্কর্যকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তোলা হবে না, তা-ই কি হয়?
নেহেমিয়াস চিপাদা নামের এই ফিলিপাইনি পর্যটক পার্কটির পুলে চুপচাপ বসে থাকা একটি কুমিরকে ভাস্কর্য মনে করে সেটির সঙ্গে সেলফি তুলতে যান। হঠাৎ কুমিরটি তার হাত কামড়ে ধরে পানির দিকে টেনে দিতে থাকে। আসলে তিনি যাকে কুমিরের ভাস্কর্য মনে করেছিলেন, সেটি ছিল ১২ ফুট লম্বা জ্যান্ত এক কুমির। তবে সৌভাগ্যক্রমে তিনি কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হন।
সেসময় পার্কে থাকা এক দর্শনার্থী তার মোবাইলের ক্যামেরায় ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।
সেসময় পার্কে থাকা এক দর্শনার্থী তার মোবাইলের ক্যামেরায় ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে নেহেমিয়াস চিপাদাকে কুমিরের মুখ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিরাপদ দূরত্বে এসে মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় তার বাম হাত থেকে রক্ত ঝরছিল।
চিপাদা উত্তর মিন্দানাও মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
দ্য মিরর এবং ডেইলে মেইল’র খবরে বলা হয়েছে, নেহেমিয়াস চিপাদা আমায়া ভিউ অ্যামিউজমেন্ট পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই তার জীবনে এ দুঃস্বপ্ন নেমে আসে। পার্কে ১২ ফুট লম্বা সরীসৃপটির সঙ্গে কয়েকটি ছবি তুলতে ডোবায় নামেন নেহেমিয়াস চিপাদা নামের ওই পর্যটক।
কিন্তু এ ঘটনা তাকে জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। কুমিরটি তার বাহুতে কামড়ে ধরে সবলে তাকে পানির তলে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এতে তার পরিবার সদস্য ও আশপাশের লোকজন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।