একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। স্বাধীনতার পর তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক এবং দৈনিক জনকণ্ঠসহ গণমাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশপ্রেম এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। আজীবন সংগ্রামী এ গুণী সাংবাদিক তার স্বীয় কর্মের মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী তোয়াব খানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে শনিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৭ বছর বয়সে মারা যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তোয়াব খান।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ‘দৈনিক পাকিস্তান’ থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় তোয়াব খানের হাতেখড়ি। এরপর দৈনিক সংবাদে কাজ করেন।
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেসসচিব ছিলেন তোয়াব খান। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দৈনিক বাংলায় যোগ দেয়ার আগে দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই সাংবাদিক। এরপর গত বছরের ৬ অক্টোবর নতুন ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি।
২০১৬ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত তোয়াব খান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন। তখন তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিন্ডির প্রলাপ’ নামের একটি অনুষ্ঠান।