ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: তুরস্কের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক গড়তে চায় যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। সে লক্ষ্যে মতানৈক্য দূর করার স্বার্থে যথাযথ পন্থা খোঁজার আহ্বান জানান বাইডেন। ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে ইতি টানতে বৈঠক করলেন মার্কিন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, রোববার (৩১ অক্টোবর) রোমে জি-২০ সম্মেলনে জো বাইডেন ও রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের মধ্যে অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। আরও আলোচনা করেন দক্ষিণ ককাস, জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানবাধিকার প্রসঙ্গ বিষয়ে।
বৈঠকে এরদোগান যুক্তরাষ্ট্রকে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান বিক্রির অনুরোধও করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, জঙ্গি বিমান বিক্রির বিষয়ে বাইডেন বলেছেন- বর্তমানে নেয়া একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে।
সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে ইউরোপ, রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রাম বিষয়ে উপ-পরিচালক রেইচেল এলেহুস বলেন, ‘একটি ন্যাটো মিত্রের কাছ থেকে কোন আচরণ কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়, তুরস্ককে সেই বার্তা দিতে এই বৈঠক বাইডেনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।’
ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১৯ সালে তুরস্ক রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় পেন্টাগন আঙ্কারার কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
আঙ্কারা এখন লকহিড মার্টিনের তৈরি করা ৪০টি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান এবং তাদের বর্তমান বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমানের জন্য ৮০টি আধুনিকায়ন কিট সরঞ্জাম কিনতে আগ্রহী।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা বাইডেন প্রশাসনকে তুরস্কের কাছে এফ-১৬ বিমান বিক্রয় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের কথায়, ‘আঙ্কারা শত্রুর মত আচরণ করেছে।’
প্রসঙ্গত, তুরস্কে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী কাভালানিকে মুক্তির দাবি তুললে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করার আদেশ দেশ এরদোগান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কৌশলগত উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দেশ দুটির মধ্যে। যদিও এরদোগান পরে সেই আদেশ থেকে সরে আসেন।