রাজধানী ডেস্ক, আজনিউজ২৪: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের চতুর্থ বোর্ড সভায় নীতিমালার একটি খসড়া উপস্থাপন করে তাতে কাউন্সিলরদের মতামত চাওয়া হয়। পরে কাউন্সিলরগণ এ বিষয়ে তাদের নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন এবং এই উদ্যোগ গ্রহণের উপস্থিত কাউন্সিলরবৃন্দ ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে ধন্যবাদ জানান।
নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ ও প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন: করপোরেশনের মেয়রের একটি ঐচ্ছিক তহবিল ব্যবহারের এখতিয়ার রয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি সেই তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো নীতিমালা করা হয়নি।
আমি চাই একটি নীতিমালার আলোকে এই তহবিলের সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা হোক। সেজন্য আমরা মেয়রের ঐচ্ছিক তহবিল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা – ২০২০ প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। এই নীতিমালার একটি খসড়া আপনাদের (কাউন্সিলরদের) সকলের কাছে দেয়া হয়েছে। আপনাদের সকলের মূল্যবান মতামত প্রদানের মাধ্যমে নীতিমালাটি সমৃদ্ধ করার আহবান জানাই।
পরে বোর্ড সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী ৯ সদস্য বিশিষ্ট সমাজকল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার বিষয়ক স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত সকলে একযোগে তা অনুমোদন করেন।
সাধারণ আসনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হোসেন আলোকে সভাপতি করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যগণ হলেন – সাধারণ আসনের ৫৫ নং ওয়ার্ডের মোঃ নুরে আলম, ১৭ নং ওয়ার্ডের মো. মাহবুবুর রহমান, ২৫ নং ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার ইকবাল,৩৯ নং ওয়ার্ডের রোকন উদ্দিন আহমেদ, ৬০ নং ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার হোসেন মজুমদার এবং সংরক্ষিত আসনের ৩ নং ওয়ার্ডের মিনু রহমান, ২৩ নং ওয়ার্ডের নিলুফা ইয়াছমিন ও ২৫ নং ওয়ার্ডের মোসা. সাহিদা বেগম।
সমাজকল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের অনেকগুলো সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র (কমিউনিটি সেন্টার) বিভিন্ন সংস্থার কাছে ভাড়া দেওয়া ছিল। তাদের সাথে আমাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে, আমরা তাদের সাথে আর চুক্তি নবায়ন করছি না। আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রগুলো দ্রুততার সাথে আমাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে পত্র দেওয়া হয়েছে।
আমরা চাই, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকাবাসীর কল্যাণে এসব সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করা হবে। যে সকল ওয়ার্ডে এখনো সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়নি, সেসব ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তা প্রকল্প আকারে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা ৭৫টি ওয়ার্ডে ৭৫টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করব।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫০ নং ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত সমাজকল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। সূত্র : চ্যানেল আই