ঢাকাসহ সারা দেশে গত এক সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ৩৮০ ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুন থেকে ৩ জুলাই অর্থাৎ আজ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, চাঁদাবাজ, টিকিট কালোবাজারি, অবৈধ দখলদার, ডাকাত সদস্য, সরকারি হাসপাতালের ওষুধ চুরি চক্রের সদস্য, মরা মুরগির ব্যবসায়ী, ভেজাল শিশুখাদ্য উৎপাদনকারী, অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসায়ী, অবৈধ বালু উত্তোলনকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ মোট ৩৮০ অপরাধীকে আটক করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক অপরাধীদের কাছ থেকে ১৩টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৭টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৫টি ককটেল, গান পাউডার, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল, মুঠোফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া হিন্দুধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তা দেওয়া, অসহায় জনগণের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন এবং বাজার মূল্য মনিটরিংসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে কাছের সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।