এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপের এই ম্যাচটি কেবলই নিয়মরক্ষার। চতুর্থ রাউন্ড শেষেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের। মূল পর্বের লড়াইয়ে টিকে আছে কেবল হংকং ও সিঙ্গাপুর। এর পরও ভারতের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা ও রোমাঞ্চের পাহাড় জমেছে। অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন হামজা-শমিতরা। জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াই দেখতে টিকিট নিয়েও ছিল কাড়াকাড়ি। মাত্র ছয় মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে ম্যাচের সব টিকিট। শনিবার বিকেলে ঢাকায় পা-রাখা ভারতীয় দল রবিবার প্রথম অনুশীলন করে। হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের গুরুত্ব ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনুশীলন হয়েছে ‘ক্লোজড ডোর’ বা রুদ্ধদ্বার পরিবেশে।
প্রস্তুতির দিক থেকে দুই দল দুই মেরুতে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ দল ভারত ম্যাচের আগে নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। সেই ম্যাচে হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমের মতো তারকাদের পেয়েও জয়ের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। অন্যদিকে, ভারত ঢাকায় আসার আগে ভুটানের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে এবং ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে। ভারতীয় দলে বিশেষ নজর থাকছে নতুন মুখ রায়ান উইলিয়ামসের ওপর। অস্ট্রেলিয়া থেকে সরাসরি উড়ে এসে তিনি দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিলেও তার মাঠে নামার বিষয়টি ফিফার অনুমতির ওপর ঝুলে আছে। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে সৌন্দর্য নাও থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সফরকারি দলের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু, ‘এটি (এশিয়ান কাপের দৌড়ে না থাকা) ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা তীব্রতা কমিয়ে দেবে ন। বাংলাদেশ দল এবং তাদের সমর্থকদের দারুণ এক ম্যাচ হতে যাচ্ছে। কারণ ভারতের বিপক্ষে খেলা। আমাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা সবসময় কঠিন। ম্যাচটি হয়তো দেখতে সুন্দর নাও লাগতে পারে। অগোছালো দেখা যেতে পারে। দল হিসেবে আমাদের যে কোনো চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ ভারত ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে বলছিলেন তিনি।
সান্ধু বলেন কাছে, ‘বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সব সময়ই শিক্ষণীয়। এখানে এসে খেলা সহজ নয়। কারণ এই এখানকার ফুটবলে প্রতিযোগিতা হয়।’
ঢাকায় ভারত ফুটবল দলের রুদ্ধদ্বার অনুশীলন
খেলা
65,485 Views

