জানা-অজানা ডেস্ক : হিমাঙ্কের নিচে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে জমে ছিল এই বহুকোষী আনুবীক্ষণিক প্রাণী। জলীয় পরিবেশে বেঁচে থাকার অবিশ্বাস্য ক্ষমতা আছে তার। উত্তর-পূর্ব সাইবেরিয়া। যত দূর চোখ যায় শুভ্র বরফে ঢাকা। সম্প্রতি রাশিয়ার সয়েল ক্রায়োলজি ল্যাবরেটরির একদল গবেষক এ তথ্য দিয়েছেন।
গবেষণাদলের সদস্য স্তানিসলাভ মালিয়াভিন বলেন, প্রাণীগুলো নিজেদের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং এ পর্যায় থেকে সহজেই জীবন্ত হয়ে উঠতে পারে। তারা মেটাবলিজম পুরো বন্ধ করে না এর গতি ধীর করে ফেলে তা আমরা এখনো জানি না।
এই গবেষকদের আগের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, হিমায়িত অবস্থায় ১০ বছরের বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে রোটিফার্স। তবে সম্প্রতি তাদের আরেক গবেষণায় রেডিওকার্বন ডেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা গেছে, পার্মাফ্রস্ট নামক এলাকা থেকে বের করে আনা প্রাণীগুলো প্রায় ২৪ হাজার বছর পুরোনো।
স্তানিসলাভ মালিয়াভিন বলেন, ডেলোফাইড রোটিফার্স হাজার হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নামলেই মেটাবলিজম বন্ধ করে ক্রিপ্টোবায়োসিস অবস্থায় চলে যায় এরা। তাপমাত্রা অনুকূলে এলেই ফের জীবন্ত হয়ে ওঠে প্রাণীগুলো।
কিন্তু কি করে এত কম উষ্ণতায় নিজেদের শরীরে প্রাণের চিহ্ন বজায় রাখা সম্ভব তা নিয়ে চলছে গবেষণা। বহুকোষী প্রাণীরা কিভাবে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে তা জেনে রীতিমতো অবাক বিজ্ঞানীরা। এর ফলে আগামী দিনে জিন গবেষণা ও বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাতে গবেষণার নতুন দিগন্ত আবিষ্কৃত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।