খেলনা পিস্তলসহ ঢাকার গাবতলী-আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ ও আশুলিয়ার বিশমাইল এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ওরফে আলম (৫৮), শামছুজ্জামান ওরফে সবুজ (৩৫), জাকির হোসেন (৩৬), মাকছুদুর রহমান দীপু (২৬), ইলিয়াছ রহমান (৩৩), মো. হৃদয় (২২), মামুনুর রশিদ ওরফে শিশির (৩৪), সবুজ (৫৫) ও মো. রিপন (৩৬)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে খেলনা পিস্তলসহ চক্রের সদস্যরা একত্র হয়েছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পেশাদার ডাকাত। তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে ডিবি ওয়ারী বিভাগ। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে ঢাকার রূপনগর থানা এলাকার প্রিয়াঙ্কা শুটিং স্পটের কাছে গাবতলী-আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দুটি খেলনা পিস্তল, একটি স্টিলের ছুরি ও তিনটি বাটন মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা ১৪-১৫ জন দুইটি গাড়ি এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে বিরুলিয়া ব্রিজ পার হয়ে সাভার এলাকায় পালিয়ে যান। পরে রাত পৌনে একটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশমাইল মোড় থেকে অ্যাভেঞ্জা কারসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি ইলেকট্রিক শক লাইটার, চারটি মুঠোফোন, একটি রাউটার এবং পুলিশ লেখা তিনটি রিফ্লেকটিং জ্যাকেট (বাংলাদেশ পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তরিকুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলাসহ আটটি মামলা রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, শামছুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১টি, জাকিরের বিরুদ্ধে ২টি, মাকছুদুরের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ৪টি, ইলিয়াছের বিরুদ্ধে ২টি, হৃদয়ের বিরুদ্ধে ১২টি, মামুনুরের বিরুদ্ধে ২টি, সবুজের বিরুদ্ধে ৭টি ও রিপনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
