ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী জালাল আহমদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ছিলেন তিনি।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
জালালকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে জালালের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটে। এতে আহত হন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল হক। জালাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম বিভাগের শিক্ষার্থী।
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জালালকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম তাৎক্ষণিক এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এ ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ডের জন্য জালালকে হল থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাঁর ছাত্রত্ব বাতিলেরও ব্যবস্থা করা হবে।মঙ্গলবার রাতেই জালালকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা রেষারেষির জেরে জালাল তাঁর রুমমেট রবিউলকে ছুরিকাঘাত করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে রবিউল বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল কক্ষে এসে লাইট জ্বালান। শব্দ করতে থাকেন। এতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তখন তিনি বলেন, সকালে তাঁকে লাইব্রেরিতে যেতে হবে। অযথা শব্দে তাঁর ঘুমে সমস্যা হচ্ছে। এতে জালাল রেগে গিয়ে তাঁকে অবৈধ, বহিরাগত বলেন। তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁকে আঘাত করেন জালাল। পরে তিনি কোনোক্রমে আত্মরক্ষা করেন।