শীত কড়া নাড়ছে দুয়ারে। কিন্তু চোখে-মুখে স্বস্তি নেই গরম পোশাক ব্যবসায়ীদের। কারণ, বছর ব্যবধানে আমদানি কমেছে অন্তত ৭০ শতাংশ। তারা বলছেন, ডলার সংকট আর বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব পড়েছে এই ব্যবসায়। অন্যদিকে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় কমছে বেচাকেনাও। এমন অবস্থায় বাজার ধরতে কৌশলী দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো।
বিদেশি ব্র্যান্ডের পোশাকের জন্য বেশ জনপ্রিয় রাজধানীর পলওয়েল সুপার মার্কেট। প্রতিবছর শীতে জমজমাট থাকে এটি। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট পুরোপুরি ভিন্ন। একই অবস্থা চায়না টাউনেরও। ডলার সংকট ও বৈশ্বিক মন্দায় কমেছে আমদানি। অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে বিলাসী পণ্য কেনা কমাচ্ছে মানুষ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা।
এক বিক্রেতা বলেন, অল্প মাল এনেছি, বেশি আনতে পারিনি। ডলার সংকট ছিল। ফলে সেজন্য মালও কম এসেছে। গত বছরের কিছু মাল ছিল, সেগুলো নিয়ে বসে আছি। আরেক বিক্রেতা বলেন, আমরা সাধারণত দুই থেকে তিনবার মাল আমদানি করি। কিন্তু এবার মাত্র একবার এনেছি। ওই মালই এখন বিক্রি করছি। কিন্তু কাস্টমার নেই।
ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন মডেলের কিছু ব্লেজার, জ্যাকেট ও জুতাসহ বিভিন্ন শীত পোশাক আমদানি করা গেছে। তবে তা অন্য সময়ের তুলনায় খুবই কম। তবে বিক্রিতে ভাটা পড়ায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের কপালে।
পলওয়েল সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম তালুকদার বলেন, এলসি করতে মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। এটা যদি না করা যায়, তাহলে তো ব্যবসা টিকে থাকবে না। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই মার্কেটটা একরকম বিপজ্জনক জোনে আছে। এখানে ক্রেতা আসতে ভয় পাচ্ছে।
বিদেশি পোশাকের বাজারে যখন মন্দা ভাব, তখন নানাভাবে ক্রেতা আকৃষ্টের চেষ্টা করছে দেশিয় ব্র্যান্ডগুলো।