ইকোনোমিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম আরও কমেছে। শুক্রবার (১০ মার্চ) অর্থনীতির তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটি। এতে দেখা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রমবাজারে মজুরি প্রবৃদ্ধি ধীর হয়েছে। তাতে স্পষ্ট হয়েছে, মার্কিন মুলুকে মূল্যস্ফীতি চাপ কমেছে।
ফলে নমনীয় মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে পারে ইউএস কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এতে আগের প্রত্যাশার চেয়ে কম সুদের হার বাড়াতে পারে তারা। পরিপ্রেক্ষিতে ডলারের আরও দরপতন ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, গত মাসে মার্কিন অর্থনীতিতে চাকরি বেড়েছে। তবে মজুরি কমেছে। সেই সঙ্গে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়তে পারে।
বোস্টনের এসএলসি ম্যানেজমেন্টের বিনিয়োগ কৌশল এবং সম্পদ অবস্থান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেক মুলারকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছিল; আসন্ন বৈঠকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারে ফেড। তবে এ পরিস্থিতিতে সেটা ২৫ হতে পারে।
এ অবস্থায় মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের কাছে আবেদন কমেছে ডলারেরও।গ্রিনব্যাক সূচক শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে ১০৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের কার্যদিবসে অন্যান্য প্রধান ৬ আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে যা ছিল ১০৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট।
এতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরোর মান বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। ইউরোপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১ ডলার ০৬৪ সেন্টে। ব্রিটেনের মুদ্রা স্টার্লিংয়ের বিনিময় হার বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। এক স্টার্লিং বিক্রি হয়েছে ১ ডলার ২০২৬ সেন্টে।
তবে জাপানের মুদ্রা ইয়েনের অবমূল্যায়ন ঘটেছে ১ দশমিক ০১ শতাংশ। প্রতি ডলারের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১৩৪ দশমিক ৭৭ ডলারে।