ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালের ট্রফি দেওয়ার সময় পোডিয়াম থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কথা শুনে প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার দশা হয়েছিল চেলসি ডিফেন্ডারের।
কদিন আগে শেষ হওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে অন্য রকম চমক নিয়ে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ম্যাচ শেষে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়দের ট্রফি প্রদান করেন ট্রাম্প।
কিন্তু চমক বাকি ছিল আরও। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চেলসির হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার পর ট্রাম্প পোডিয়াম ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান, যা দলটির খেলোয়াড়দের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অস্বস্তির সৃষ্টি করে। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন চেলসি অধিনায়ক রিচ জেমস। ট্রফি হাতে চেলসি খেলোয়াড়দের উদ্যাপনের সময় ট্রাম্প থেকে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। এবার একই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন চেলসির স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেয়া। ট্রাম্পের আচরণ দেখে রীতিমতো প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার দশা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও কথাটা মজা করেই বলেছেন। হিহান্তেস নামের এক পডকাস্টে চেলসি লেফট ব্যাক কুকুরেয়া বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছিল, নিয়ম অনুযায়ী ট্রাম্প ট্রফি তুলে দেবেন। তিনি চলে যাওয়ার পরই আমরা উদ্যাপন শুরু করতে পারব। কিন্তু তিনি কিছুতেই মঞ্চ ছাড়তে চাইছিলেন না। উল্টো আমাদের দিক তাকিয়ে বললেন, “তোমরা তোলো ট্রফিটা, আমি এখানেই থাকব।” আমি তখন ভাবছিলাম, কে ওকে কিছু বলার সাহস করবে? সত্যি বলতে, আমার তো একেবারে প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার দশা হয়েছিল!’
সেদিন ফাইনাল শেষে ইনফান্তিনো, চেলসির মালিক টড বোয়েলি ও পিএসজি সভাপতি নাসের আল-খেলাইফির সঙ্গে মাঠে প্রবেশ করেন ট্রাম্প। পরে তিনি খেলোয়াড়দের মধ্যে পদক বিতরণ করেন এবং ইনফান্তিনোর দেওয়া একটি উপহারও বুঝে নেন। পরবর্তী সময়ে চেলসি অধিনায়ক রিস জেমস ট্রফি নিতে গেলে ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি পোডিয়ামে থাকবেন কি না। ইনফান্তিনোও ট্রাম্পকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হননি।
ফলে তাঁকে নিয়েই উদ্যাপন করতে হয় চেলসিকে। এমনকি ক্লাব বিশ্বকাপের আসল ট্রফিটিও চেলসিকে দেওয়া হয়নি। লন্ডনের ক্লাবটি পেয়েছে রেপ্লিকা ট্রফি। মূল ট্রফি নিজেদের অফিসে রেখে দিয়েছেন ট্রাম্প।