মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়ার জন্য পাকিস্তানের আহ্বানের পরদিনই ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।
রোববার (২২ জুন) ইরানে হামলার নিন্দা জানিয়ে ইসলামাবাদ বলেছে, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ট্রাম্পের বোমা হামলা, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। চলমান সঙ্কটের সমাধানের একমাত্র পথ কূটনীতি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বিলেছে, ‘ইরানের বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসনের কারণে উত্তেজনা ও সহিংসতার অভূতপূর্ব বৃদ্ধি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির ফলে এই অঞ্চল এবং তার বাইরেও মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।’
এছাড়াও এদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে টেলিফোন করে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় ইসলামাবাদ।
এদিকে পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে, হাজার হাজার মানুষ ইরানের ওপর মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মিছিল করেছে। এ সময় ট্রাম্পের ছবি সম্বলিত একটি বিশাল আমেরিকান পতাকা রাস্তায় ফেলে রাখা হয়, যাতে বিক্ষোভকারীরা হেঁটে যেতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং পাকিস্তানের আঞ্চলিক শত্রু ভারতের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে শনিবার পাকিস্তান গত মাসে ভারতের সাথে চার দিনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ‘একজন প্রকৃত শান্তিরক্ষী’ হিসেবে মনোনীত করে তাকে।
আগামী বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নের প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানায় দেশটি। পাকিস্তান আরও জানায়, ‘দুর্দান্ত কৌশলগত দূরদর্শিতা এবং অসাধারণ রাষ্ট্রনায়কত্ব প্রদর্শন করেছেন ট্রাম্প।’
সূত্র: রয়টার্স