টানা বৃষ্টিতে নাকাল উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর কবির হাট উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভার পানিবন্দী বাসিন্দারা। ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে উপজেলার বেশির ভাগ সড়ক, ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে ঢুকেছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুল ও কলেজে পরীক্ষা থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ধান শালিক ও ধানশিড়ি চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়—প্রায় সব সড়কেই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে, ঘর বাড়ি ডুবে গেছে, কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও এর চেয়েও বেশি। এসব এলাকায় পানি সরছে ধীরগতিতে। ফলে বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয় বাসিন্দাদের, ধান শালিক ও ধানসিড়ি ইউনিয়নের অনেক লোক বন্যা হওয়ার ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে চাপরাশিরহাট বাজার ও বসুরহাট বাজারে বাসা বাড়ি খুজতেছে,
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কবিরহাট উপজেলার জলাবদ্ধতা নতুন নয়। প্রতিবছরই এমনটা হচ্ছে। এর মূল কারণ অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে চাপরাশিরহাট ইউনিয়ের বাসিন্দা সাবেক ব্যাংক ম্যানেজার নুর নবী বলেন, ‘ নাগরিক সুবিধা নিয়ে কেউ ভাবে না। অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ এর কারণে অল্প বৃষ্টিতেই পানি উঠে।’কোম্পানীগনজে রেগুলেটার নির্মাণ করলে আমাদের এ অবস্থা হতো না।
ডাঃ মজিবুল হক রোডের দোকানদার জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার দোকানের ভিতর পানি ডুকে গিয়েছে দেখার কেউ নেই, এ দোকান করে আমার সংসার চলে, পানির কারণে কেউ দোকানে ডুকতে চায় না।
জানতে চাইলে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী হালিম সালেহী বলেন কয়েকটি এলাকা আজ ঘুরে দেখেছেন তিনি। সব জায়গাই কমবেশি জলাবদ্ধতা রয়েছে অনেক বসতবাড়ি ডুবে আছে । জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ কোম্পানি গন্জের ক্লোজার ভেংগে যাওয়া এখন রিক্সা ওয়ালার দোকানের বাঁধ কেটে দিলে কোম্পানীগঞ্জের বিশাল অংশ বিলীন হয়ে যাবে, একমাত্র পথ হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জের রেগুলেটর নির্মাণেরকাজ শেষ করা,কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূদম পুষ্প চাকমা বলেন অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলার অনেক বাড়ি ঘরে পানি উঠে গেছে, মানুষ পানি বন্দী হয়ে গেছে, আমি আজ অনেক এলাকা ঘুরে এসেছি, আমরা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।