সারাদেশ ডেস্ক: টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত কক্সবাজার-বান্দরবান। কক্সবাজারে পাহাড়ধসে দুদিনে প্রাণ গেছে ১৩ জনের। আরও ধসের শঙ্কা থাকলেও সরছে না ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীরা। এমন দুর্যোগকে আরও ভয়ংকর করে তুলছে বন্যা। তলিয়ে গেছে দুই জেলার বহু গ্রাম। কক্সবাজারে পানি ডুবে আলাদা ঘটনায় মারা গেছেন ৬ যুবক। আর বান্দরবানের ঘুমধুমে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে কক্সবাজারের অনেক পাহাড়। ফলে পরপর দুদিনে ধস হলো অন্তত দশটি স্থানে। বুধবার ভোররাতে টেকনাফের নীলা ইউনিয়নের পানখালিতে পাহাড়ধসে মারা যায় একই পরিবারের ৫ শিশু। ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ওপর মাটিচাপা পরলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তারা। প্রায় একই সময়ে আরেকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে মহেশখালির হোয়ানকে। সেখানে এক বৃদ্ধ ছাড়াও মারা যায় কয়েকটি গবাদিপশু।
মঙ্গলবারও উখিয়া, টেকনাফ ও মহেশখালিতে পাহাড়ধসে মারা যায় ৭ জন। এমন ধসের শঙ্কা আছে আরও। কিন্তু এরপরও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে পারছেনা প্রশাসন।
শুধু পাহাড়ধসই নয়, বাঁকখালি ও মাতামুহুরি নদীর পানি বেড়ে বন্যায় বিপর্যস্ত জেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। যাদের ভোগান্তির শেষ নেই। এছাড়া ইদগাওয়ে মাছ ধরতে গিয়ে ঢলে নিখোঁজ তিন যুবক।
এদিকে ভারিবৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত বান্দরবানের জনজীবন। আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে অনেক গ্রাম। কয়েকটিস্থানে বন্ধ সড়ক যোগাযোগ। ঘুমধুমে পানিতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর।