স্পোর্টস ডেস্ক: টানা দুই টেস্ট খেলার মানসিকতা নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। এবার সেই অভিযোগকে অনেকটা সত্যতায় রুপ দিলেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। ড্রেসিংরুম দেখে তার এমন উপলব্ধি হয়েছে। পেসারদের ব্যর্থতাকে বড় করে দেখার পাশাপাশি মুমিনুলের অধিনায়কত্বও প্রশ্নবিদ্ধ তার চোখে।
বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রসেস ভালো ছিল না। হারা জিতা তো খেলারই একটা অংশ। হারতেই পারি আমরা।
সহজ স্বীকারোক্তি টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের। ঘরের মাঠ, চেনা কন্ডিশন তারপরও ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসে ব্যর্থ টপঅর্ডার। তার চাইতেও ভয়াবহ ড্রেসিংরুমের আবহ। ক্রিকেটারদের মাঝে নেই টেস্ট ক্রিকেটের মানসিকতা।
খালেদ মাহমুদ বলেন, মানসিক জড়তাটা একটা বড় ব্যাপার এটা তো রয়েই গেছে। এটা বলা যাবে না যে এটা নেই, অবশ্যই আছে। ছেলেরা কতটুকু স্বীকার করবে আমি জানি না। কিন্তু আমাদের ড্রেসিংরুম থেকে যেটা মনে হয় যে একটা বেরিয়ার রয়ে গেছে সেখানে মানসিকতার ব্যাপারটা।
সেই মুমিনুল আর এই মুমিনুল পার্থক্য বহুদূরে। অধিনায়কত্বের চাপে পারফরম্যান্সের রেখা নিম্নমুখী। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আগলে রাখলেও টিম ডিরেক্টর তুললেন প্রশ্ন।
টাইগারদের টিম ডিরেক্টর বলেন, অবশ্যই একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু এর উত্তরটা মুমিনুল সবচেয়ে ভালো দিতে পারবে। কিন্তু আমি যদি বাইরে থেকে দেখি এবং বলি তাহলে আমার কাছে কিছু সময় মনে হয় যে মুমিনুল প্রেসারে আছে। অধিনায়কত্বের প্রেসারটা তার ব্যাটিংয়ের ওপর কিছুটা হলেও হ্যাম্পার করছে। সে এই ফরম্যাটের দারুণ খেলোয়াড়। তবে আমরা বিশ্বাস করি যে সে ব্যাক করবে।
প্রত্যাশা যতটা ছিল পেস ইউনিটের ওপর ঠিক ততটাই হতাশ করেন এবাদত-খালেদরা। টিম ম্যানেজমেন্টের ভাষায় সিরিজ হারের দায় ওদের ওপর অনেকটুকু। খালেদ মাহমুদ বলেন, যারা খেলছে তারা কেনও পারবে না বা আমরা কেমন তাহলে ফাস্ট বোলার আমাদের দুইজন ইনজুরড হলে যে আরও দুইজন ফাস্ট বোলার পারফর্ম করতে পারবে না। সেখানেই তো আমরা টেস্ট হিসেবে এগুচ্ছি না।
আর এমন ভঙুর আত্মবিশ্বাস ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে চিন্তার নাম বাংলাদেশের।