স্পোর্টস ডেস্ক: টাইব্রেকারে স্পেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ইউরো ফাইনালে রবার্তো মানচিনির দল ইতালি। আর সেই সাথে প্রথম দল হিসেবে ইউরোর ফাইনালে জায়গা করে নিলেন ইতালি। প্রতিপক্ষের হিসেবে পেতে পারেন ডেনমার্ক অথবা ইংল্যান্ড। রবার্তো মানচিনির দল পেনাল্টি মিস করেছেন আসরের আলোচিত স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা ও দানি অলমো। নির্ধারিত ও যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হয়।
নায়ক থেকে খলনায়ক। যে মোরাতার গোলে গোলে টাইব্রেকে গড়িয়েছে ম্যাচ। তিনিই বনে গেলেন ভিলেন। সমালোচনাকে সঙ্গী করে শুরু টুর্নামেন্ট, শেষটায় সঙ্গী হয়ে রইলো আক্ষেপ। রোমাঞ্চ, নাটকীয়তা আর উত্তেজনা। কোন কিছুই যেন বাদ যায়নি ইতালি-স্পেন ম্যাচে। তবে শেষ হাসিটা ইতালির।
জর্গিনহোর ঠাণ্ডা মাথার শটে আনন্দে ভাসে আজ্জুরি শিবির। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের জয়ে টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত আজ্জুরিরা। আর চতুর্থ বারের মতো ইউরোর ফাইনালে মানচিনির দল। ওয়েম্বলিতে থাকা ৬০ হাজারের বেশি দর্শক উপভোগ করেন ম্যাচ। করোনা মহামারির পর কোন ক্রীড়া ইভেন্টে এত বেশি দর্শক উপস্থিতি ইংল্যান্ডের মাঠে।
ম্যাচের প্রথমার্ধের গল্পটা স্পেনের। আধিপত্য দেখিয়ে একের পর এক আক্রমণে ইতালির রক্ষন ব্যস্ত রাখে স্পেন। এদিন স্পিনাৎজোলার অভাব ভালোই টের পেয়েছেন মানচিনি।
প্রথমার্ধে ইতালি গোল রক্ষক দোনারোমার পরীক্ষা নিয়েছে পেদ্রি. দানি ওলমোরা। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ মিকেল ওয়ারসাবাল। দ্বিতীয়ার্ধেও দূরন্ত লা রোহা ফিউরি। তবে স্রোতের বিপরীতে লিড নেয় ইতালি। স্কোরার য়্যুভেন্তাস ফরোয়ার্ড ফেদেরিকো কিয়েজা।
স্পেন শিবিরে প্রানের স্পন্দন আনেন আলভারো মোরাতা। ফেরান তরেসের পরিবর্তে বদলি হিসেবে নেমে লুইস এনরিকের আস্থার প্রতিদান দেন এই স্ট্রাইকার। ফার্নান্দো তরেসকে ছাড়িয়ে স্পেনের হয়ে ইউরোতে সবচেয়ে বেশি ৬ গোল এখন মোরাতার। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে গোলের দেখা পায়নি কোন দল। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকে।
মানুয়েল লোকাতেল্লির স্পটকিক রুখে দেন স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন। তবে পরের শটেই স্পেনের হয়ে দানি ওলমোও গোল করতে ব্যর্থ। এরপর আন্দ্রেয়া বেলোত্তি, লিওনার্দো বোনুচ্চি ও ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির সফল স্পট কিক। বিপরীতে স্পেনের হয়ে থিয়াগো আলকানতারা, জেরার্দ মোরেনা লক্ষ্যভেদ করলেও আলভারোর শট আটকে দেন জিয়ানলুউজি দোনারোমা।
৯ বছর আগে স্পেনের কাছে হেরে শিরোপা ভঙ্গ হয়েছিল ইতালি।