স্পোর্টস ডেস্ক: সাত ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে পাকিস্তানকে পরাজিত করে ১-০ তে এগিয়ে গেছে ১৭ বছর পর দেশটিতে খেলতে আসা ইংল্যান্ড। আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করেই করাচিতে শুরু হয় সিরিজটি। সর্বশেষ ২০০৫ সালে পাকিস্তান সফর করেছিল ইংলিশরা।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দল বহনকারী বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর বিদেশি দলগুলো সফরে অস্বীকৃতি জানালে পাকিস্তান তাদের হোম ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে বাধ্য হয়। তবে শেষ কয়েক বছর যাবত ধীরে ধীরে পাকিস্তানের মাটিতে আবারও ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
পাকিস্তান আসার আগে টানা তিনটি সিরিজ হেরেছে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৩-২), দক্ষিণ আফ্রিকা (২-১) ভারতের কাছে (২-১) ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে। তাই এই সিরিজটি ছিল বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ফিরে পাওয়ার সিরিজ। যেখানে প্রথম ম্যাচে সাফল্য ধরা দিয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ ফাইনালসহ টানা দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজিত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা পাকিস্তান আরও একবার হোঁচট খেয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি বাবর-রিজওয়ানরা। যার ফলে ৬ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংলিশরা।
তাই আজকের ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছুই চিন্তা করছে না ম্যান ইন গ্রিনরা। অপরদিকে ইংলিশদের চিন্তা এ ম্যাচেও জয় দিয়ে নিজেদের প্রাপ্ত আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার। তাই ম্যাচটি যে একপেশে হবে না তা বলাবাহুল্য।
দু’দল টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২২ বার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ইংল্যান্ডের ১৫ জয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় মাত্র ৬টি। একটির ফলাফল হয়নি। ইংল্যান্ড ১৪ জয়ের ৭টি হোমে জিতেছে। পাকিস্তান তাদের ৬টি জয়ের ৪টি অ্যাওয়েতে জিতেছে। আলাদা ভেন্যুতে ইংলিশদের জয় ৮ ম্যাচে আর পাকিস্তানের ২ ম্যাচে।
বাটলারের অনুপুস্থিতিতে ইংল্যান্ড দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অলাউন্ডার মঈন আলী। আগের ম্যাচেই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার শান মাসুদের। কিন্তু তিনি অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), হায়দার আলী, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, উসমান কাদির, হারিস রউফ, নাসিম শাহ ও শাহনেওয়াজ দাহানী।
ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ
ফিল সল্ট (উইকেটরক্ষক), অ্যালেক্স হেলস, ডেভিড মালান, বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, মঈন আলী (অধিনায়ক), স্যাম কারান, ডেভিড উইলি, আদিল রশিদ, লুক উড ও রিচার্ড গ্লিসন।