
দুই দেশের নেতাকে এক টেবিলে আনতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ৮০ মিনিট ফোনে কথা বলেছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এদিকে কিয়েভের সঙ্গে পুনরায় সংলাপ শুরু করার জন্য মস্কো প্রস্তুত রয়েছে। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনের সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেনি ক্রেমলিন।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি ছিল না। তবে কিছুদিন আগে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। সংঘাত থামাতে আলোচনা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে দুই দেশের আলোচকেরা কয়েক দফা সরাসরি ও ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেছেন। তবে এখন আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
পুতিনের কাছে ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানা থেকে আটক আড়াই হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মুক্তির আহ্বান জানানো হয়।
ইউক্রেন আশা করছে, রাশিয়ার হাতে বন্দী এসব সেনাদের বন্দী বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে ছাড়ানো হবে। তবে মস্কো এ বিষয়ে কোনো কিছু নিশ্চিত করেনি। রাশিয়ার কিছু আইনপ্রণেতা ইউক্রেনের বন্দী সেনাদের শাস্তি দাবি করছেন।