মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটারসের (ডি-এমআই) সাথে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ এবং দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্রধান কমিশন দ্বারা প্রস্তাবিত সংস্কারে সম্মত হলে রাজনৈতিক দলগুলো একটি জুলাই সনদ স্বাক্ষর করবে। জুলাই চার্টার দেশের ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ করবে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সিনেটর পিটারস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, মূল কমিশনের প্রতিবেদন এবং আইজি এর বিনামূল্যে ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কারে সম্মত হয় তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু দলগুলো আইজির কাছ থেকে বড় সংস্কারের প্যাকেজ চাইলে কয়েক মাস পরে সাধারণ নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। উৎসবমুখর মেজাজে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন বড় উৎসব হবে, যেমন আমরা অতীতে দেখেছি।
সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে পিটারস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে আছে। মিশিগানে ডেট্রয়েট শহরসহ তার নির্বাচনী এলাকাতে অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মানুষ বসবাস করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের হামলার বিষয়েও ব্যাপক পরিমাণে ভুল তথ্য রয়েছে। এই কিছু ভুল তথ্য যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশের শহরগুলো সফরের আহ্বান জানিয়েছেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রকৃত তথ্য জানতে মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও কর্মীদের দেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আপনার সাহায্য চাই। আপনার বন্ধুদেরকে বলুন বাংলাদেশ ঘুরতে। এইভাবে আমরা এই ভুল তথ্য প্রচারগুলো মোকাবেলা করতে পারি।