জ্যেষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেছেন, আমি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে চাই। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আর্তমানবতার সেবায় নিজকে নিয়োজিত রাখতে চাই। আসলে আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই রয়েছে জীবনের স্বার্থকতা। জীবনের উদ্দেশ্য শুধু নিজেকে সুখী করা নয় বরং উদ্দেশ্য হওয়া উচিত অন্যকে সুখী।
রেজাউল করিম ১৯৬৭ সালে কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী থেকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।
আজ নিউজ-এর প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকালে জ্যেষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, আমরা এখন টেকসই উন্নয়নের কথা বেশ গুরুত্ব দিয়েই বলি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগেই জিয়াউর রহমান টেকসই, পরিবেশবান্ধব, উন্নয়নদর্শন বাস্তবায়ন করেছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বল্প সময় রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে তিনি দেশের মাটি, পানি, পরিবেশকে অক্ষত রেখে অর্থনীতি, উন্নয়ন ও নাগরিক জীবন একসুতোয় গেঁথেছিলেন। ওই সময়ে বিভিন্ন দেশেই সামরিক বাহিনীর লোকজন ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে খুব বেশি শাসক জনপ্রিয় হতে পারেননি। রাষ্ট্র পরিচালনায় জিয়াউর রহমান অনেক দক্ষ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাদেরও ছাপিয়ে গেছেন। এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দেশের শাসনভার গ্রহণ করে সার্বিকভাবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন সর্বত্র। জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন, ‘The Beauty of Diversity’ মতবাদে। তাইতো বাকশালে বিলীন হওয়া আওয়ামী লীগ তার শাসনামলেই আবার নিজ নামে রাজনীতির নতুন সুযোগ পায়।
মো. রেজাউল করিম সোনালী ব্যাংকের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা; যিনি ব্যবসায়িক উন্নয়ন এবং ব্যাংকের মুনাফায় কৃতিত্বের সাথে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি গত ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের নতুন জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) হিসেবে পদোন্নতি পান।
রেজাউল করিম ১৯৯৪ সালে সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তার দীর্ঘ ও বৈচিত্র্যময় ২৯ বছরের কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখা যেমন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাখা, প্রিন্সিপাল অফিস প্রধান, প্রিন্সিপাল অফিস, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ঢাকা (সেন্ট্রাল), খুলনা জিএম অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (ইনচার্জ) হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
রেজাউল করিম ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং ১৯৯৩ সালে মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ১৯৯৪ সালে সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
রেজাউল করিম বিভিন্ন সময় দেশ ও বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি বেশ কয়েকবার সোনালী ব্যাংকের শ্রেষ্ঠ শাখা প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন।
রেজাউল করিম ব্যক্তি জীবনেএক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।