রাজধানী ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: রাজধানী বস্তি এলাকায় কভিড সংক্রমণের হার নিয়ে আলাদা কোনো তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।
তবে বিজ্ঞান ও চিকিৎসার স্বার্থেই নিম্নআয়ের মানুষের সংক্রমণ ও এন্টিবডির ধরন গবেষণার দাবি রাখে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের জীবনযাপনের ধরণ এন্টিবডি তৈরিতে আলাদা ভূমিকা রাখতে পারে।জীবনযাপন, পেশার ধরনের কারণে স্বচ্ছলদের তুলনায় কভিড এন্টিবডি তৈরিতে এগিয়ে থাকতে পারেন অপেক্ষাকৃত নিম্নআয়ের মানুষেরা বলে মনে করেন রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক বিদ্যার গবেষক অধ্যাপক ডা. আশীষ কুমার চৌধুরী। যদিও রাজধানী বস্তি এলাকায় কভিড সংক্রমণের হার নিয়ে আলাদা কোনো তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।
ঢাকার বস্তিগুলোতে শারীরিক দূরত্ব রক্ষা একরকম বিলাসিতা। এখানকার বাসিন্দারা জানেন, চাইলেও তারা স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারবেন না। বস্তির মানুষের সাথে কথা বলে বোঝা যাচ্ছে এখানে আতঙ্ক কম আত্মবিশ্বাস বেশি। অনেকের কাছেই করোনা একরকম বড়লোকের অসুখ।
আর্থিক স্বচ্ছলতা যেখানে মরীচিকা, আশ্রয় মানে কোনমতে চারটি দেয়াল- এমন অনেক মানুষের বসতি-ভদ্রপাড়ায় পরিচিতি বস্তি নামে। ঢাকা মহানগরীতে এমন বস্তিঘর আছে ১ লাখ ৩৫ হাজারের মতো। যেখানে বাস সাড়ে ছয় লাখের মতো মানুষের। ২০১৪ সালের সরকারি হিসাব এটি। যদিও বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।
করোনা সংক্রমণের পর থেকেই বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে আসছিলেন, ঘিনজি এলাকা উচ্চঝুঁকিপূর্ণ।
হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, দূরত্ব রক্ষা কড়াইল বস্তির বাসিন্দাদের কানে পৌঁছেছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবতা এখানে ভিন্ন। ভাইরাসের সঙ্গে একরকম বোঝাপড়া করেই যেন টিকে থাকছেন তারা। সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর