জিমেইল, আউটলুক, ইয়াহুসহ বিভিন্ন ই–মেইল সেবা ব্যবহারকারীদের ১৮ কোটি ৩০ লাখ পাসওয়ার্ড চুরি হয়েছে। বিপুলসংখ্যক পাসওয়ার্ড চুরির এ ঘটনা কয়েক মাস আগে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ট্রয় হান্ট। ফলে বিশ্বজুড়ে বিপুলসংখ্যক ই–মেইল ব্যবহারকারী সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিনথিয়েন্টের গবেষক বেঞ্জামিন ব্রান্ডেজ প্রথম জিমেইলসহ বিভিন্ন ই–মেইল সেবা ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড চুরির ঘটনা শনাক্ত করেন। এরপর তিনি বিষয়টি ‘হ্যাভ আই বিন পাউন্ড’ ওয়েবসাইটকে জানান। ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে পারেন। জিমেইলসহ বিভিন্ন ই–মেইল সেবা ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড চুরির বিষয়ে বেঞ্জামিন ব্রান্ডেজ জানান, কেবল শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। কম্পিউটার ক্ষতিকারক সফটওয়্যারে আক্রান্ত হলে পাসওয়ার্ড চুরি ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
ট্রয় হান্ট জানিয়েছেন, তিন দশমিক পাঁচ টেরাবাইট আকারের চুরি হওয়া তথ্যগুলো কোনো একক প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে অনুপ্রবেশের ফল নয়। কম্পিউটারে অনুপ্রবেশকারী ক্ষতিকর সফটওয়্যারের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে চুরি হওয়া অসংখ্য তথ্য একত্রিত করে বিশাল এই তথ্যভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য একবার চুরি হলে তা দ্রুত নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং থামানো কঠিন হয়ে যায়।সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, ই–মেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড চুরির আশঙ্কা থাকলে অবিলম্বে পরিবর্তনের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়াতে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করতে হবে। এই পদ্ধতিতে লগইনের সময় স্মার্টফোনে একটি যাচাইকরণ কোড পাঠানোর ফলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। শুধু ই–মেইল নয়, অনেকেই একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন সেবা ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করেন, ই–মেইলের পাসওয়ার্ড চুরির ফলে তাদের অন্যান্য অ্যাকাউন্টও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
