এ সময়ে ফুটবলের সেরা খেলোয়াড় কারা?
অনেকে অনেক নাম বলবেন। তবে উত্তরটা যদি এমন একজন দেন, যিনি নিজের সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তো বটেই, সর্বকালের সেরাদেরও একজন, তাহলে তো সেটার আলাদা গুরুত্ব থাকেই। সেই একজনের নাম জিনেদিন জিদান।
আর এ সময়ের সেরা খেলোয়াড়ের নাম বলতে গিয়ে জিদান সবার আগে এমন একজনকে বেছে নিয়েছেন, যেটা কারও কারও কাছে কিছুটা অপ্রত্যাশিতও মনে হতে পারে। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি এবং পরে কোচ হিসেবেও রিয়ালকে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো জিদান সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বার্সেলোনার বিস্ময়বালক লামিন ইয়ামালকে!
ইতালির ত্রেন্তো শহরে ‘ফেস্টিভ্যাল দেলো স্পোর্ত’ অনুষ্ঠানে জিদান বলেছেন, ‘শুধু তার (ইয়ামাল) পজিশনই নয়, মাঠে সে যেভাবে খেলে, ও বল পায়ে নিলেই আমার গায়ে কাঁটা দেয়। গত মৌসুমে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে সান সিরোতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে সে যেন একাই সব করেছিল।’
ইয়ামালের পাশাপাশি জিদান প্রশংসা করেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পিএসজির দুই মিডফিল্ডারেরও, ‘দুই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার, জোয়াও নেভেস ও ভিতিনিয়াকেও আমি ভীষণ পছন্দ করি। ওরা কখনোই বল হারায় না।’ শুধু জিদান নন, সাম্প্রতিক সময়ে ইয়ামালকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা বলেছেন আরও অনেকেই। জিদানের সাবেক সতীর্থ, রিয়াল মাদ্রিদে গ্যালাকটিকোস যুগের আরেক তারকা ডেভিড বেকহাম তো আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘আমার মতে, মেসির সঙ্গে কাউকে তুলনা করা যায় না। তবে ইয়ামালই সবচেয়ে কাছাকাছি। একদিন ও লিওর মতোই ভালো হতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ২০-৩০ বছর পরপর এমন খেলোয়াড় আসে।’ জিদান ও ইব্রাহিমোভিচ একসঙ্গে খেলেননি। একই উৎসবে কথা বলতে গিয়ে জিদানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইব্রাও বললেন, ‘একজন খেলোয়াড়কে বিচার করতে হবে সে একা কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, তা দিয়ে। ইয়ামাল সেটা করেছে। আমার হাতে থাকলে আমি ওকেই এবার ব্যালন ডি’অর দিতাম।’
যদিও শেষ পর্যন্ত এবার ব্যালন ডি’অরে ইয়ামাল দ্বিতীয় হয়েছেন। সেরা হয়েছেন পিএসজির উসমান দেম্বেলে। তবে অন্য ইতিহাস গড়েছেন ইয়ামাল। টানা দুবার জিতেছেন ২১ বছরের নিচে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি।
প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুবার কোপা জেতার এই বিরল কীর্তি গড়েছেন ইয়ামাল।