বিস্ফোরক আইনের মামলায় প্রায় ২৫০ জন সাবেক বিডিআর সদস্যকে জামিন দিয়েছে আদালত। ১৫ বছর পর তারা প্রথমবারের মতো জামিন পেল।
বাংলাদেশে ২০০৯ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের আদালতে শুনানির পর জামিনের এই আদেশ দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন খান বলেন, যারা আগের মামলায় (হত্যা মামলা) খালাসপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের পরে আপিল নাই, তারা আজকে জামিন পেয়েছেন। এছাড়া ৩০ জন যাদের নাম বিস্ফোরক মামলার চার্জশিটে ছিল তাদেরকে বাদ দিয়ে বাকিদের জামিনের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আসামিদের একজন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলেছে, হত্যা মামলায় যারা নিম্ন আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন এবং যাদের ক্ষেত্রে সেই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেনি এবং তাদের হাইকোর্ট পর্যন্ত আর কোন সাজা নেই, সেই ২৫০ জনকে জামিন দিয়েছে আদালত।
এই সংখ্যা প্রায় আড়াইশো হতে পারে বলে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা ধারণা দিয়েছেন। অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেছেন, যাদের জামিন দেয়া হয়েছে, সঠিকভাবে তাদের তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য দুইদিন সময় লাগবে পারে। আগামী দুইদিন পরে তারা জামিন পেয়ে যাবেন বলে আশা করেন এই আইন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশে ২০০৯ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রোববার কেরানীগঞ্জের আদালতে শুনানির পর জামিনের এই আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানির কথা থাকলেও আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে সেদিন শুনানি স্থগিত করেছিল আদালত। এর পর স্থান পরিবর্তন করে সেটি কেরানীগঞ্জে নির্ধারণ করা হয়।
২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে।