শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অন্যান্যরাও জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বাংলামোটরের দেশ রূপান্তরের কার্যালয় প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অমিত হাবিবের মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকাল বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংবাদিক সমাজে।
আরও পড়ুন: সদা হাস্যোজ্জ্বল ও বার্তাকক্ষের এক নেতা ছিলেন সম্পাদক অমিত হাবিব
অমিত হাবিবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাতে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ (ক্র্যাব) বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা অমিত হাবিবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।
অমিত হাবিবের জন্ম যশোরে ১৯৬৪ সালে। যশোর এমএম কলেজ থেকে ১৯৮০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করেননি। সে সময় বিচিন্তা, পূর্ভাবাস ও প্রিয় প্রজন্ম নিয়মিত লিখতেন।
১৯৮৭ সালে দৈনিক খবরে নিয়োগ পান সহ-সম্পাদক পদে। ১৯৯১ সালে দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় যোগ দেন সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিসেবে। পরের বছর চলে যান দৈনিক ভোরের কাগজে। পদোন্নতি পান যুগ্ম বার্তা সম্পাদক পদে। পরে হন বার্তা সম্পাদক। ২০০৩ সালে দৈনিক যায়যায়দিনের প্রধান বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেন। পত্রিকাটি বাজারে আসে ২০০৬ সালে।
এরপর ২০০৭ সালে চীনের আন্তর্জাতিক বেতারে বিদেশি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরের বছর দৈনিক সমকালে প্রধান বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেন। ২০০৯ সালে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন দৈনিক কালের কণ্ঠে। পরে পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক হন। ২০১৮ সালে তার সম্পাদনায় যাত্রা শুরু করে দৈনিক দেশ রূপান্তর।