ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
ইসরায়েলের সংসদ নেসেটে ইউএনআরডব্লিউএ নামে পরিচিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাকে দেশটির ভেতরে ও ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে কার্যক্রমের চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি আইন পাস হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টেবার) দেশটির সংসদে এই আইন পাস হয়। তবে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইসরায়েলের কিছু পশ্চিমা মিত্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, গাজায় এখন যে মানবিক সংকট চলছে এতে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর কিছু সদস্য অংশগ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া তাদের কয়েকজন হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ইউএনআরডব্লিউএ-এর কর্মীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
তবে সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সংসদে হওয়া ভোটটি জাতিসংঘ সনদবিরোধী এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি ইউএনআরডব্লিউএ-কে অমর্যাদাপূর্ণ করার এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মানব উন্নয়নে সহায়তা ও সেবাদান প্রক্রিয়া অগ্রাহ্য করার চলমান প্রচেষ্টার সর্বশেষ পদক্ষেপ।
ইসরায়েলি সংসদে এমন এক সময়ে ইউএনআরডব্লিউএ-কে নিষিদ্ধ করতে ভোটাভুটি হলো যখন ইসরায়েলি যুদ্ধ ট্যাংকগুলো উত্তর গাজার আরও গভীরে প্রবেশ করেছে। একই সঙ্গে এক লাখের বেশি বেসামরিক মানুষকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, হামাস যোদ্ধাদের দমন করতে তারা এই অভিযান চালাচ্ছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, জাবালিয়া ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে প্রায় ১০০ সন্দেহভাজন যোদ্ধাকে আটক করেছেন তারা। তবে হামাস ও সেখানকার চিকিৎসাকর্মীরা ওই হাসপাতালে যোদ্ধাদের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছেন।