এক দশক পর ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিধানসভার ভোটগ্রহণ শুরু হলো। প্রথম দফায় ২৪ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনের মূল প্রতিযোগিতায় পিডিপি। তবে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট বেঁধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে কংগ্রেসও। দুর্বল রাজনৈতিক ভিত্তি নিয়ে মর্যাদার লড়াইয়ে রয়েছে বিজেপি।
২০১৪ সালের পর আবারও বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দারা। লোকসভা ভোটের পর প্রথম কোনো হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মুখোমুখি রাজনৈতিক দলগুলো। ২৩ লাখের বেশি ভোটার ভোট দেবেন। ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, বিজেপি, কংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ৯০৯ জন।
ভোট উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভারতের রাজনীতির স্পর্শকাতর এই অঞ্চল। সেই সঙ্গে সীমান্ত অঞ্চলে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত নজরদারি। বুথের সামনে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়।
এই ভোটকে দেখা হচ্ছে বিজেপির মর্যাদার লড়াই হিসেবে। নরেন্দ্র মোদির সরকার ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করলে বিশেষ মর্যাদা হারায় এই উপত্যকা। যার বিপরীতে এবার জনগণের সিদ্ধান্তের প্রতিফলন দেখা যাবে ভোট ব্যাংকে। যদিও এই অঞ্চলে রাজনৈতিক ভিত্তি দুর্বল গেরুয়া শিবিরের।
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনে সম্মানজনক ফলের পর বড় পরীক্ষার মুখোমুখি কংগ্রেসও। অঞ্চলটিতে এনসির সঙ্গে জোট বেঁধে জয় পেলে জাতীয় রাজনীতিতে ঘাঁটি শক্ত হবে রাহুল গান্ধীর। ভালো ফলে জন্য মুখিয়ে লোকসভায় মুখ থুবড়ে পড়া মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি। একক প্রচেষ্টায় জয়ী হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ।
১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মিরে ১২টি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও সহিংসতায় ভরা এসব নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। অতীতে বারবার নির্বাচন বর্জন করে এসেছেন এখানকার জনগণ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। তবে এবার কিছু আসনে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা অংশ নেয়ায় ভোটারদের মধ্যে বাড়তি উদ্দীপনা দেখা গেছে।