এক সংগ্রামী মা জায়েদা খাতুন । স্বামী হারা এ মা জননীর বয়স এখন প্রায় ৭০বছর। একমাত্র এ ছেলে জাহাঙ্গীর আলমই তার বেঁচে থাকার প্রেরণা। ১৮মাস আগে যখন ছেলের উপর রাজনৈতিক পাথর চেপে বসে তখন মায়ের কপালে ছিল জগতের সব চিন্তার ভাজ।
ছাত্ররাজনীতি থেকেই জাহাঙ্গীরের বাসার সব সামলিয়ে আসছেন এই নারী। কখনও রাজনীতির মাঠে এভাবে বের হবেন তা চিন্তায় ছিল না। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবার। নগরের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে বেড়িয়ে ভোট চেয়েছেন। প্রতিপক্ষের নানা হুমকীর মুখে পড়েছেন, পিছপা হননি এ মুহুর্তের জন্য। অবশেষ নগরবাসী এ নগরমাতার উপরই ভরসা রেখেছে, তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করে নগরবাসী এ নগরমাতার উপরই আগামী ৫বছরের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। এ যেন বোবা মানুষের নিরব কান্নার প্রতিফলন।
প্রতিপক্ষের হুমকীতে এতোদিন কর্মী সমর্থকরা বাসায় আসতে পারেনি। ভোটের দিন সন্ধ্যা পেরিয়ে যেতেই তার বাসায় ভীর বাড়তে থাকে। একসময় হাজার হাজার লোকে ভরে যায় তার বাসার আশপাশ এলাকা।
জায়েদা খাতুন জয়ের পর নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে আমাদের সময়কে বলেন, এটি গাজীপুরবাসীর নিরব প্রতিবাদ। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, একটি মিথ্যার প্রতিবাদ করেছে। মুখোশধারী ভন্ড প্রতারকের কাছ থেকে শহর ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের বিজয়ী করেছে। এ নগরীর প্রতিটি মানুষ আমার সন্তান, আমি তাদের অভয় দিতে চাই আমি বেঁচে থাকতে তাদের কোন ক্ষতি হতে দেব না।
জায়েদা খাতুন আজনিউজকে বলেন, এ জীবনটায় ছিল আমার সংগ্রামের। শেষ বয়সে যে সংগ্রাম করতে হবে তা ছিল কল্পনার বাহিরে। ছেলে জাহাঙ্গীর ছোটকাল থেকেই রাজনীতি করেন। বাড়ীতে লোকজন আসে সে লোকজন আমাকে সামলাতে হয়েছে। নিজের হাতে রান্না করে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আমি আপ্যায়ন করেছি। ছেলে রাজনীতি করলেও গাজীপুর মহানগরের ৫৭ওয়ার্ডের মানুষের সাথে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক।