রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, ‘আমি বলব, আপনি যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কালি লাগানো মাত্র ঘষাঘষি না করেন, একটু শোকানোর সময় দেন, কালি উঠবে না, ইনশাআল্লাহ।’
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার কিছু পর থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে জুবেরী ভবন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য এ কথা বলেছেন।
রাকসুতে দ্রুত ফলাফল দিয়ে উদাহরণ তৈরি করতে চান কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, নির্বাচনের ফল দিতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা লাগতে পারে। ছয়টি ওএমআর মেশিন সর্বোচ্চ পারফরমেন্সে চললে এ সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে এই সময়টা দিতে হবে।
উপাচার্য বলেন, ভোট পুরোপুরি সুষ্ঠুভাবে চলছে। ভেতরে ও বাইরে বড় ডিসপ্লেতে সব কার্যক্রম উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, সবাই দেখতে পারবেন কী হচ্ছে। রাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চলেছে।
নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো এখন পর্যন্ত তেমন কিছু শোনা যায়নি। শুধু গরমে শিক্ষার্থীরা একটু কষ্ট পাচ্ছেন।
রাকসুতে ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। তবে ভোটারের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশ চন্দ্র বসু প্রশাসনিক ভবনের একটি কেন্দ্রে ভোট দেন শেখ নূর উদ্দিন আবির। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা বলেন।
আবির আরও বলেন, ‘একটি অসংগতি আমাদের চোখে পড়েছে। আঙুলে অমোচনীয় কালির যে কথা বলা হয়েছিল, তা এখনই প্রায় উঠে গিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব। তবে আমরা যদি কোনো কারচুপির সন্ধান পাই বা কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আভাস পাই; অবশ্যই সেটি আপনাদের মাধ্যমে সারা দেশের সামনে তুলে ধরব।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফলাফল যাই আসুক সেটি মেনে নেওয়ার কথাও জানান ছাত্রদল-সমর্থিত এই ভিপি প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘ভোট গণনা প্রক্রিয়া পর্যন্ত যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, ফলাফল যাই আসুক, আমরা মেনে নিব। তবে আমরা জয়ী হব, সেটা নিয়ে আশাবাদী। পর্যালোচনা করলেই জানতে পারবেন যে, আসলে আমাদের প্যানেলটা কতটা যোগ্য।’