ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : জমকালো উদ্বোধনীতে আর চোখ ধাঁধানো আতশবাজিতে চীনে শুরু হলো মিলিটারি ওয়ার্ল্ড গেমসের ৭ম আসর। এবারের স্লোগান ‘মিলিটারি গ্লোরি, ওয়ার্ল্ড পিস‘।
দুই কোরিয়া এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে এক পতাকা তলে। অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করে অভিন্ন ও শান্তির পৃথিবীর ডাক দিলেন অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট থমাচ বাচ।
রাতের অন্ধকার আর পিনপতন নীরবতা ভেঙ্গে ডানা ঝাপটে উড়ে এলো শান্তির প্রতীক পায়রা। ছুটে এলো এক নওজোয়ান। দৃষ্টি তার স্থির, লক্ষ্য সাম্যের পৃথিবীর।
অথবা শুরুটা করা যাক সেই আদিম মানব থেকে। যেখানে ছিলোনা কোন যুদ্ধ কিংবা হানাহানি। ছিলোনা অস্ত্রের ঝনঝনানি।
সজাগ দৃষ্টিতে সারাবছরই থাকতে হয় রণক্ষেত্রে। সেইসব বীর যোদ্ধাদের একটুকু প্রশান্তি এনে দিতে, ১৯৯৫ সাল থেকে ৪ বছর বাদে মাঠে গড়ায় মিলিটারি ওয়াল্র্ড গেমসের। চীনে এবার বসছে যার ৭ম আসর।
হুবেই’তে জমকালো উদ্বোধনীর পরতে পরতে ছিলো বিশ্ব সংস্কৃতি আর আধুনিক পৃথিবীতে মিলিটারির অবদানের অবয়ব। ছিলো যুদ্ধ নয় শান্তির ডাক।
নভোচারির ন্যায় গেইম মশাল হাতে উড়ে এলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যোদ্ধা জিয়ান। মনমুগ্ধকর আড়াই ঘন্টার প্রদর্শনী প্রাণ ভরে উপভোগ করেছেন দর্শকরা। ছিলেন চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং ।
সিআইএসএমের প্রেসিডেন্ট হার্ভে পিকিরিও বলেন, এটা আমাদের জন্য দারুণ একটা মুহূর্ত। বিশ্বের সবাইকে জানাতে চাই আমরা এক সাথেই আছি। এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে সৌহার্দ আরো বাড়বে।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট থমাস বাচ বলেন, খেলাধুলার মূল উদ্দেশ্য সারাবিশ্বকে এক কাতারে দাঁড় করানো। সর্বত্র শান্তি ফিরিয়ে আনা। আর সে দিক থেকে এধরনের আয়োজন দারুণ সহায়ক।
এবারের মিলিটারি গেমসে ১০৯টি দেশ থেকে ২৭টি ডিসিপ্লিনে ৩২৯ ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন ৯ হাজার ৩০৮ জন সৈন্য। যেখানে সবচাইতে বড় বহরটা স্বাগতিকদেরই ৯৫৯ জনের। আগামী ১০ দিন অস্ত্র-গোলাবারুদ তুলে রেখে যারা লড়বেন পদকের লড়াইয়ে। লড়বেন শান্তির আহ্বানে।