নদীর ভাঙনে ভিটে-মাটি হারিয়ে দিশেহারা লালমনিরহাটের চরগোকুন্ডা উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার। এলাকার স্কুল আর মাদরাসাও এখন হুমকির মুখে।
নদীর পাড়ের মানুষরা বলেন, নদী ভাঙনের কারণে বর্তমানে অনেক অসহায় আমরা। ভিটে-মাটি সব ভেঙে যাচ্ছে। রমজান মাসে আমাদের থাকা খুবই কষ্টের।
এদিকে তিস্তা ব্যারেজের ৬টি জলকপাট খুলে দেয়ায় নিম্নাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি বারবার জানালেও কোনো সুরাহা মিলেনি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের গোকুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ টোটন বলেন, অনেক ঘর-বাড়ি পানিতে ভেসে যাচ্ছিল। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করি, পানি উন্নয়ন বোর্ডও পরিদর্শনে আসেন। তারা আশ্বস্তও করেন যে, দ্রুত কাজ হবে। কিন্তু তারপরও কাজ না হওয়ায় আমরা বিভাগীয় প্রকৌশলীর কাছে যাই। তারাও আমাদের হবে বলে বলে আশ্বস্ত করছেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, অসময়ে এমন ভাঙনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
আর লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো নিয়ে স্থায়ীভাবে একটি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে কিছু জিও বস্তা কিনে স্টোর করে রেখেছি।
বাঁধ সংস্কার করে অসময়ের পানি বন্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তিস্তাপাড়ের মানুষের।