বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করেছেন তারেক রহমান, তিনি আমাদের নেতাদের বলেছেন, এই ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে শরিক হন। এটাই হবে আমাদের গণতন্ত্রের ও সংগ্রামের ফাইনাল খেলা।
এ কারণে প্রতিটি বাড়ি থেকে ছাত্রদের হাত ধরে বাবা-মা এসে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন। শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন। সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছিলেন, আন্দোলন দমন করতে যে অস্ত্র লাগে ব্যবহার করো। তারপরও শেখ হাসিনা নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি, পতন হয়েছে, পালিয়ে যেতে হয়েছে।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বরিশাল মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আয়োজিত শোক র্যালি-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পিটিয়ে ও পাথর মেরে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার জন্য প্রশাসন কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা না করে একটি পক্ষ বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার আর কুৎসায় নেমেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা দেখলাম খুলনায় মাহবুব নামে বিএনপির এক লোককে প্রথমে গুলি করা হলো, তারপর পায়ের রগ কেটে দেওয়া হলো। পায়ের রগ কাটে কারা আপনারা জানেন? ইমামকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। এ ঘটনাগুলো নিয়ে আপনারা কোনো মন্তব্য করলেন না।
শোক-র্যালিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, গোপালগঞ্জ কি বাংলাদেশের বাইরে। শেখ হাসিনা শান্তি চায় না, গণতন্ত্র চায় না, শেখ হাসিনা চায় ক্ষমতা। তাই পাশের দেশে বসে তার নেতাকর্মীদের দিয়ে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোর্শেদ হাসান খান। মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার ও আবুল কালাম শাহীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, এবায়দুল হক চাঁন, মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, উত্তরের আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।