ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং শুক্রবার মিয়ানমারের রাজধানীতে পৌঁছেছেন। শি’র সফর অং সাং সু চি’র সরকারকে সহায়তা প্রদানে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো চুক্তির পথ সুগম করবে বলে আশা করছে বেইজিং। খবর এএফপি’র।
শি’র সফর উপলক্ষে প্রশস্ত মহাসড়ক ও নেইপিয়াডো’র ম্যায়নেকিরড লন -এ শি’র মুখচ্ছবি সম্বলিত লাল ব্যানারে সাজানো হয় এবং বার্মিজ ও ম্যানডারিনরা তাকে অভিনন্দন জানায়।
চীনের গ্লোবাল বেল্ট ও সড়ক উদ্যোগের অংশ হিসেবে শি বেশ কিছু বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তির ফলে গভীর সমুদ্র বন্দর ও পূর্ব থেকে পশ্চিমে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে মিয়ানমারের চেহারা বদলে যেতে পারে।
তবে সমালোচকরা এ সফরকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কারণে আন্তর্জাতিক সাবেক মানবাধিকার অঙ্গনের আইকনিক অং সান সু চির বদলে যাওয়া ভাবাধারার বিপরীতে প্রতীকী সহযোগিতা হিসেবে দেখছেন।
শুক্রবারএক স্বাগত অনুষ্ঠান ও নৈশ ভোজের পর শি শনিবার, সু চি ও সেনা প্রধান মিং অং হলাইং-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এদিকে, মিয়ানমারের সমর্থনে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ নিয়ে নেইপিদোতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংনপিং।রোহিঙ্গা নিধনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মিয়ানমার সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ হবে এ মাসেই। এর আগেই তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।
তাদের মতে, মিয়ানমারে পক্ষে অভিযুক্তদের বিচার করা সম্ভব নয়। নৃশংসতা ধামাচাপা দিতেই তদন্ত বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। এরমধ্যেই, মিয়ানমারের সমর্থনে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ নিয়ে নেইপিদোতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংনপিং। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নৃশংস হামলায় কমপক্ষে ১০ হাজার রোহিঙ্গা নিহত হন। রাখাইন ছাড়তে বাধ্য হন ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। এই বর্বরতার জন্য মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে গণহত্যায় অভিযুক্ত করে জাতিসংঘ।
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান কোরে, ২০১৭ সালের এ ঘটনা অনুসন্ধানে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে মিয়ানমার সরকার। চলতি মাসেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে কমিশন। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট মিয়ানমারের তদন্ত কমিটিকে অবিশ্বাসযোগ্য আখ্যা দিয়েছে। বিশ্লেষক ও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সরকারের অব্যাহত মিথ্যাচারকে ন্যায্যতা দিতে চাইবে তদন্ত কমিটি।